এবিসি নিউজের মূল্যায়ন

'স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যেভাবে ফাটল ধরলো'

প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৮

যাযাদি ডেস্ক
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত বিগত কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উপভোগ করেছে। কিন্তু এ বছরের শুরুতেই সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে যে শান্তিপূর্ণ ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তা বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচু্যত করার জন্য দেশব্যাপী আন্দোলনে পরিণত হয়। এই প্রতিবাদকে 'বিশ্বের প্রথম জেনারেল জেড বিপস্নব' হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ হাসিনা একটি হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এবং দিলিস্নতে আশ্রয় নেন। পরের মাসগুলোতে বাংলাদেশে একজন হিন্দু সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার এবং ভারতের একটি বাংলাদেশি কনসু্যলেটে জনতার হামলা দুই দেশের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। এখন, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, বেড়েছে ধর্মীয় উত্তেজনা। 'সহিংসতা আমাদের শত্রম্ন' : 'আয়রন লেডি' শেখ হাসিনার কট্টর শাসনের অধীনে ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে তার অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল অংশীদার বলে মনে করে এসেছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা সবাই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামল আগস্টে আকস্মিকভাবে শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়, যাকে আবার হাসিনাবিরোধী বলে মনে করা হয়। হিন্দুরা বাংলাদেশের ১৭৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ এবং তাদের অনেকেই হাসিনার তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল। হাসিনা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর দাঙ্গাবাজরা আওয়ামী লীগের প্রতীক এবং কিছু ক্ষেত্রে হিন্দুদের টার্গেট করেছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি হ পৃষ্ঠা ২ কলাম ১