ফিরে দেখা ২০২৪

রাজনৈতিক উত্থান-পতনের বছর

প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বীরেন মুখার্জী
বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ঘটনাবহুল ছিল ২০২৪ সাল। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন, আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থান, যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে এ আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্র-জনতার ওপর ব্যাপক পুলিশি আক্রমণ, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে বিদায় নিতে যাওয়া বছর রাজনৈতিকভাবে উত্তাল ছিল। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেন দেশের সব রাজনৈতিক দল। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নানা তৎপরতা সত্ত্বেও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কথিত 'একতরফা' ও 'ড্যামি' নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়। বেড়ে যায় মূল্যস্ফীতি। নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। এরই মাঝে চলতি বছরের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলন আবার নতুনভাবে আলোচনায় আসে। \হকোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে জুলাই বিপস্নব কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরুতে সভা-সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে কোটা আন্দোলনকারীদের পরোক্ষভাবে 'রাজাকারের নাতি-পুতি' হিসেবে অভিহিত করেন। শেখ হাসিনার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গ করে 'তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার' এবং 'চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার' স্স্নোগান দেন। পরদিন ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, মন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' নষ্ট করার অভিযোগ আনেন। একই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের উপর রড, লাঠি, হকি স্টিক, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। একইসঙ্গে পুলিশও লাঠি, রাবার বুলেট দিয়ে হামলা করে। প্রতিবাদে আন্দোলনকারীও তাদের দিকে ইটের টুকরা ছুড়ে ও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসব হামলায় ১৬ জুলাই থেকে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো পুরো দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠন, বিজিবি, র?্যাব, পুলিশ দিয়ে ও ইন্টারনেট বন্ধ করেও আন্দোলন থামাতে কার্যত ব্যর্থ হলে সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে এবং মাঠে সেনাবাহিনী নামায়। এইসব ঘটনায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে নিহত হন। পুলিশ ৫০০ মামলা করে ১১,০০০-এর অধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করে। ২১ জুলাই বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে ও সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। ২২ জুলাই এই বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। ছাত্রদের মৃতু্যতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। কিন্তু শত শত শিক্ষার্থীর মৃতু্য ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হওয়ার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় শোককে প্রত্যাখান করে অনলাইনে ব্যাপক প্রচার কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন ছাত্ররা। দেশকে স্থিতিশীল করতে নয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। পরবর্তীতে তারা এই নয় দফা দাবিতে ৩ আগস্ট সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও ৪ আগস্ট থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। আওয়ামী লীগের পতন, শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ছাত্র-জনতার দেশব্যাপী সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশত্যাগ করেন। বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে তারা ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। এ ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে সংসদ বিলুপ্ত করেন রাষ্ট্রপতি। নির্বাহী আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও মামলা-সাজা থেকে অব্যাহতি দেন তিনি। এরপরই শুরু হয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়া। এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ৮ আগস্ট রাতে উপদেষ্টা পরিষদ রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিরোধিতার এক পর্যায়ে চলতি ডিসেম্বর ভারতের মাটিতে হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ মিশন। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলা ও পতাকা পোড়ানোর পর দিলিস্নকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন ও ছাত্রদের সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত দেড় দশকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছানোর কথা বলা হতো ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে পতন হয়েছে সেই সম্পর্কের। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মোটামুটি সচল থাকলেও ভিসা বন্ধ। জনসাধারণ পর্যায়েও সম্পর্কের একটা বড় অবনতি হয়েছে। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার পর ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ঢাকায়। ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আলাদা আলাদা কর্মসূচি দেয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। এমন পরিস্থিতিরি ভেতর দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্রম সিক্রি ঢাকা সফর করে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এমন পরিস্থিতির ভেতর দিয়েই শেষ হতে চলেছে চলতি বছর। \হ কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ বছরজুড়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শুরু হয়। জুলাই-আগস্ট গণঅভু্যত্থানের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন এম তৌহিদ হোসেন। তার সঙ্গে নতুন করে আবার সৌজন্য সাক্ষাতেই ব্যস্ত ছিলেন কূটনীতিকরা। শীর্ষ নেতার ঢাকা সফর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরমালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম ৪ আগস্ট ঢাকা সফর করেন। এই সরকারের আমলে সেটাই ছিল কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম ঢাকা সফর। এছাড়া গত ১৪ ডিসেম্বর পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা চারদিনের সফরে ঢাকায় আসেন। তিনি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে চমক অন্তর্র্ব‌তী সরকার প্রধান হিসেবে জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। তবে এই সফরে তিনি রীতিমতো চমক দেখান। কারণ, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে প্রতিনিধি দলে যোগ দেন মাত্র ৫৭জন। অথচ অতীতে শেখ হাসিনার সময়ে কখনো কখনো সফরসঙ্গী ছিলেন ৩ শতাধিক। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসজাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানকালে তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠককরে সবাইকে চমক দেন। প্রধান উপদেষ্টার সফর অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দেন। এরপর নভেম্বরে আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে অংশ নেন। সর্বশেষ ১৮-২০ ডিসেম্বর মিশরে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন। এসব সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাইডলাইনে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, কুয়েত, সৌদি আরব, পর্তুগাল, সামোয়া প্রভৃতি দেশে বিভিন্ন সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দেন। ইউরোপের ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গত ৯ ডিসেম্বরবৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকেসমসাময়িক ইসু্য ও অর্থনৈতিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে অপপ্রচার নিয়ে গত২ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভিন্ন মিশনে দায়িত্বরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এর আগে গত ১২ আগস্ট চলমানপরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া ১৯৮ জন বিশ্বনেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে এক বিবৃতিতে ড. ইউনূসকে সমর্থন দেন। এদের মধ্যে নোবেলজয়ীই ছিলেন ৯২ জন। বিবৃতি দাতাদের মধ্যে ছিলেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো ব্রম্নন্ডল্যান্ড, রোমানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এমিল কনস্টান্টিনেস্কু, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। এ ছাড়াও ছিলেন বারাক ওবামা, শিরিন এবাদি, হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, রামোস-হোর্তা, হিরোশি আমানো, মার্টিন কাপর্স্নাস, জোসেফ স্টিগলিৎজ, হার্টা মুলার, চার্লস রাইস প্রমুখ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও সংস্কার কমিশন গঠন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তারা দেশের নানা খাতের সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত সংস্কারে গঠন করা হয় নানা কমিটি। পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াতসহ নানা রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেন। দেন নানান সংস্কার প্রস্তাবও। পাশাপাশি তারা সারা দেশে সমাবেশের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করছেন। বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর এমন তৎপরতার মধ্য দিয়েই শেষ হতে চলেছে চলতি বছর। পর্যবেক্ষকরা চলতি বছরকে সার্বিক বিবেচনায় রাজনৈতিক উত্থান-পতনের বছর হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন।