স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গত বছরের আগস্টে সরকার পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারে দ্বিতীয় ধাপে গঠিত 'স্থানীয় সরকার সংস্কার' কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনসহ আরও পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে এই সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এই অধ্যাপকের নেতৃত্বে কাজ করেছেন সাত সদস্য। স্থানীয় সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের মুখবন্ধে উলেস্নখ করা হয়েছে, কমিশন গঠনের পরপরই এ এম এম নাসির উদ্দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এই কমিশন কাজ শুরু করেছে গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে। কাজের জন্য ১৫টি ক্ষেত্র নির্ধারণ করে প্রতিবেদনের কাঠামো গঠন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চূড়ান্তে আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কমিশন। ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানে ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে অক্টোবরে প্রথম ধাপে রাষ্ট্রের ছয়টি খাত সংস্কারে কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয় ৫ ফেব্রম্নয়ারি। দ্বিতীয় ধাপে গঠিত পাঁচ কমিশনের মধ্যে 'স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের' প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা পড়ায় বাকি থাকল গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদন। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর বিভিন্ন সুপারিশ বিবেচনা ও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে আলোচনা করবে এই কমিশন। এরই মধ্যে ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন ইউনূস।