তিউনিশিয়ার জলসীমায় ভাসছেন ৬৪ বাংলাদেশি

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে অভিবাসীদের ইউরোপে পাঠায় দালালরা -ফাইল ছবি
৭৫ জন অভিবাসীকে নিয়ে একটি উদ্ধারকারী নৌকা তিউনিসিয়ার জলসীমায় আটকে পড়েছে। তিউনিসীয় কর্তৃপক্ষ নৌকাটিকে তীরে ভিড়তে না দেয়ায় ১২ দিন ধরে তারা ভাসমান অবস্থায় আছে। আটকে পড়া অভিবাসীদের মধ্যে ৬৪ জনই বাংলাদেশি। রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে। উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমাতে যাওয়া আফ্রিকান অভিবাসীরা লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলকে ব্যবহার করে থাকে। মানব পাচারকারীদের টাকা দিয়ে লিবিয়া উপকূল থেকে নৌকায় করে রওনা করে তারা। তবে পাচারকারী চক্রকে ভেঙে দিতে এবং লিবীয় কোস্টগার্ডকে সহায়তার অংশ হিসেবে ইতালির নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়া এসব অভিবাসীর অনেকের জীবন মাঝসমুদ্রেই থমকে যায়। সম্প্রতি অভিবাসীবাহী তেমনই একটি নৌকা লিবিয়া উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি জমায় এবং মাঝসমুদ্রে আটকা পড়ে। রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে আটকে পড়াদের মধ্যে ৬৪ বাংলাদেশি ছাড়াও মরক্কো, সুদান ও মিসরের অভিবাসী রয়েছেন। মিসরের একটি উদ্ধারকারী নৌকা ওই অভিবাসীদের তিউনিসীয় জলসীমা থেকে উদ্ধার করলেও মেডিনিন শহর কর্তৃপক্ষ বলছে উদ্ধার হওয়াদের আশ্রয় দেয়ার মতো জায়গা তাদের অভিবাসী কেন্দ্রগুলোর নেই। তাদের বহনকারী মূল নৌকাটির কী হলো এবং কেন তাদের উদ্ধার করতে হলো, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে এখন উদ্ধারকারী নৌকাটিকে তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না তিউনিসীয় কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের নিয়ে উপকূলীয় জারজিস শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে মিসরের নৌকাটি। তিউনিসিয়ার এক সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, সাগরে ভাসমান অভিবাসীরা খাবার ও চিকিৎসা সহায়তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউরোপে পাড়ি জমানোর অনুমতি চাইছে তারা। রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মনগি স্স্নিম রয়টার্সকে বলেন, 'সাগরে ১২ দিন ধরে এভাবে থাকার পর অভিবাসীদের অবস্থা খুব খারাপ।' তিনি জানান, ভাসমান অভিবাসীদের খানিক চিকিৎসা সহায়তা দিতে চিকিৎসকদের একটি দল নৌকাটির কাছে পৌঁছেছে। গত মাসে ইউরোপে পাড়ি দিতে লিবিয়া ছাড়ার পর ভূমধ্যসাগরের তিউনিসীয় উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৫ অভিবাসীর মৃতু্য হয়। শুধু ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে ওই নৌপথে ১৬৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।