সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান -সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তর্কবিতর্ক করতে গিয়ে এমন কিছু যেন না হয়, যাতে স্বৈরাচার কিংবা দেশের ভালো যারা চায় না, তারা সুযোগ পেয়ে যায়। সংস্কার নিয়ে যদি আমরা অযাচিত আলোচনা করতে থাকি, তাহলে রাষ্ট্রের মূল সমস্যাগুলো আড়াল হয়ে যেতে পারে। সংস্কার নিয়ে অযাচিত আলোচনা না করে দ্রম্নত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, তাদের সব চাহিদা পূরণে নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, 'শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র কায়েম করেছেন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।'
বিএনপির গঠনতন্ত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা উলেস্নখ আছে দাবি করে তিনি বলেন, 'আগামীর সাংগঠনিক নেতৃত্ব জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ হলে ভালো মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে আসবে। তখন সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা আসবে। সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে দেশের জনগণ বিএনপিকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে।'
বিএনপি ক্ষমতায় গেল নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য খাতে কী কী করবেন তা উলেস্নখ করেন তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে নজর দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। গণতন্ত্র যত প্র্যাক্টিস হবে তত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে উলেস্নখ করে তারেক রহমান বলেন, 'এ কারণেই বিএনপি দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচিত করছে।'
সম্মেলনে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান সম্মেলনের উদ্বোধক ও বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমান উলস্নাহ আমান। এ সময় নেতাকর্মীরাও হাত উঠিয়ে ধানের শীষে ভোটের প্রতিশ্রম্নতি দেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরু হয়। খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে রং- বেরঙয়ের ক্যাপ-টি শার্ট পরে ও পস্নাকার্ড হাতে আসেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এ সম্মেলনে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুল ইসলাম শামীম, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
এছাড়া বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল।
সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পড়ে শোনান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। শোক প্রস্তাব পড়ে শোনান সৈয়দা রেহানা ঈসা।
সম্মেলনে নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, 'শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য যাচ্ছেতাই করেছে।' কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রম্নত নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের আহ্বান জানান।