সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কম্বাইন্ড পেট্রোলিং শুরু
প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে কম্বাইন্ড পেট্রোলিং শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, আজকের (সোমবার) মিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেখানে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্ত হলো, পুরো ঢাকা শহরসহ যেসব স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেসব জায়গায় আমরা পেট্রোলিং বাড়াব।
তিনি বলেন, এই পেট্রোলিং সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুরো ঢাকা শহরে দেখতে পারবেন। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নেভি- সবাই একসঙ্গে কম্বাইন্ড পেট্রোলিং করবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হবে। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। একই সঙ্গে ইন্টেলিজেন্স গেদারিং স্টেপআপ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের যারা ইন্টেলিজেন্ট উইং, এজেন্সি আছে, তারা তাদের মতো করে গেদারিং বাড়াবে। আমরা সে অনুযায়ী অ্যাকশনে যাব।
শফিকুল আলম বলেন, ঢাকা খুবই যানজটপূর্ণ শহর। কোথাও কিছু ঘটলে সেখানে যেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেতে দেরি হয়। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে প্রচুর মোটর সাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব দ্রম্নত মোটর সাইকেল কেনা হবে যেন দুজন করে দ্রম্নত মোটর সাইকেলে ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।
তিনি জানান, আপাতত পুলিশের জন্য ১০০ মোটর সাইকেল নেওয়া হচ্ছে। পরে আরও ১০০ নেওয়া হবে। অন্যান্য বাহিনীর যারা আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত, তাদের জন্যও কিছু নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আজ (সোমবার) গত কয়েক দিনের পুরো পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই ছিলেন। এখানে পুলিশ, র?্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নেভি, কোস্টগার্ড ও বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্সি ছিল। অনেকগুলো সিদ্ধান্ত এসেছে, আমি শুধু মেজরগুলো বললাম।
কমবাইন্ড পেট্রোলিংটা কি শুধু ঢাকা সিটির জন্য, নাকি সারা দেশে পরিচালনা করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা আমাদের সবার আগে। এরপর সারা দেশে আপনারা এটি দেখবেন। সন্ধ্যা থেকে আগে শুরু করি, তারপর আপনারা দেখতে পাবেন। আগে শুরু হোক।
নিদিষ্ট কোনো স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইন্টেলিজেন্ট গেদারিং হচ্ছে, আপনারা দেখতে পাবেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে বলেই আজকের সভা হয়েছে। এখানে সবাই ছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেন, তাদের সবার প্রতিনিধিরা ছিলেন। প্রতিটি সংস্থার যারা প্রধান, তারা প্রত্যেকেই আসেন। একটি উচ্চপর্যায়ের সভা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর দিক থেকে কোনো অসহযোগিতা দেখেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এরকম কিছু দেখছি না। আমরা চাই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত দ্রম্নত সম্ভব উন্নত করতে। কারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আমরা এই কাজটা সুচারুরূপে করতে চাই।
হঠাৎ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন হলো কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, হঠাৎ করে.. আমরা বলছি তো আমরা ইন্টেলিজেন্স গেদার করছি। আজ তাদের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। তারা আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবেন। আমরা গুরুত্বসহকারে এসব মনিটরিং করছি। আমরা আশা করছি আপনারা দৃশ্যমান উন্নতি খুব দ্রম্নত দেখতে পাবেন।
কক্সবাজার ইসু্যতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কক্সবাজারে এসপি ও সিকিউরিটি এজেন্সি আছে তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চাচ্ছি, তারা আমাদের দিলে আপনারা জানতে পারবেন।