পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের নাহিদ

সরকারের চেয়ে রাজপথে বেশি ভূমিকা রাখা যাবে

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন -স্টার মেইল
দেশে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকলে বেশি ভূমিকা রাখা যাবে বলে মনে করছেন উপদেষ্টার পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে সরকারের পদে ইস্তফা দেওয়া এই তরুণ নেতা বলেন, 'একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য আমার রাজপথে থাকা প্রয়োজন, ছাত্র-জনতার কাতারে থাকা প্রয়োজন। আমরা যে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য এবং গণ-অভু্যত্থানে অংশ নেওয়া শক্তিকে সংহত করতে আমি মনে করেছি যে, সরকারের চেয়ে রাজপথে ভূমিকা বেশি হবে। বাইরে যে সহযোদ্ধারা রয়েছে, তারাও একই চিন্তা করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি আজকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।' অভু্যত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে যে তিনজনকে ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে এনেছেন, নাহিদ তাদের একজন। আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম। তখন তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। গত বছর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে উপদেষ্টা পরিষদে প্রথমে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাহিদ ইসলাম। এরপর তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শেষ দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত একটি কমিটির দায়িত্বেও এসেছিলেন তিনি। সেই কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'গত ছয় মাসে আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি কাজ করে যাওয়ার। দু'টি মন্ত্রণালয়ের বাইরেও অনেক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে আমি কিছু কাজ করেছি। ছয় মাস খুবই কম সময়, তারপরও আমি চেষ্টা করেছি। সেই কাজের ফলাফল হয়তো জনগণ পাবে। আজকে থেকে আমি সরকারের দায়িত্বে নেই।' বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে যে নতুন রাজনৈতিক দল আসতে যাচ্ছে, তাতে যোগ দিচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। আগামী শুক্রবার এ দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে আর আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদের নামই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, 'নতুন রাজনৈতিক শক্তি ও দল গঠন হচ্ছে, আমার সেখানে অংশ নেওয়ার অভিপ্রায় আছে। জনগণের সঙ্গে মিশে আবারও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং গণ-অভু্যত্থানের প্রতিশ্রম্নতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করার লক্ষ্যে আমি পদত্যাগ করেছি।' ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে আসা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলমও একই পথ অনুসরণ করবেন কি না, সেই প্রশ্নে নাহিদ বলেন, 'আমি মনে করেছি আমার বাইরে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এখনো গণ-অভু্যত্থানের আকাঙ্ক্ষা তো বাস্তবায়িত হয়নি। বিচার এবং সংস্কারের যে প্রতিশ্রম্নতি নিয়ে এই সরকার গঠন হয়েছিল সেই প্রতিশ্রম্নতি পূরণে দুইজন রয়েছে। তারা মনে করেছে তাদের সরকারে থেকে জনগণকে সার্ভ করা উচিত। তারা যদি রাজনীতি করার প্রয়োজনবোধ করে তখন হয়তো সরকার ছেড়ে দেবে।' দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে এই তরুণ নেতা বলেন, 'আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। সেই সীমাবদ্ধতা কাটানোর চেষ্টা করেছি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছিল। আমরা এসে পুলিশকে পেয়েছি তাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়টি রয়েছে। জনপ্রশাসন কমিটির একটা দায়িত্বে দুই সপ্তাহের মত ছিলাম। এই সময়ে যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডিসি ছিল এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের সরানোর দায়িত্ব নিয়েছি।' নাহিদ বলেন, 'আমি আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা, গণ-অভু্যত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে। এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণে সফলতা দেখাতে পারবে।' এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র দেন। অভু্যত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে আসা নাহিদ ইসলাম সাড়ে ছয় মাসের মাথায় সেই দায়িত্ব ছাড়লেন 'ছাত্র-জনতার কাতারে' ফিরে যাওয়ার জন্য। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলে আসছিলেন নাহিদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে যে নতুন রাজনৈতিক দল আসতে যাচ্ছে, তাতে যোগ দিতেই সরকারের দায়িত্ব ছাড়লেন এই তরুণ নেতা। পদত্যাগপত্রের শুরুতেই নাহিদ জুলাই গণ-অভু্যত্থানের শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের কথা 'শ্রদ্ধাভরে' স্মরণ করছেন। রক্তক্ষয়ী গণ-অভু্যত্থানের পরে ছাত্র-জনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে 'পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের' দায়িত্ব নেওয়ায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নাহিদ লিখেছেন, 'বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আপনার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে আমাকে সুযোগ দানের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। গত ৮ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. তারিখে শপথ নেওয়া উপদেষ্টা পরিষদে আমি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আপনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনে সদা সচেষ্ট থেকেছি।' এরপর নিজের পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করে নাহিদ লিখেছেন, 'বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ছাত্র-জনতার কাতারে উপস্থিত থাকা উচিত মর্মে আমি মনে করি। ফলে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া সমীচীন মনে করছি।' আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচু্যত করা জুলাই অভু্যত্থানের মূল নেতাদের সম্মুখ সারিতে রেখে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। নাহিদকে সেই দলের আহ্বায়কের দায়িত্বে দেখা যেতে পারে। ৩৬ দিনের যে আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন, তার অগ্রভাবে ছিলেন নাহিদ ইসলাম। তখন তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা থেকে শুরু করে বিক্ষোভের ময়দানে দিনের পর দিন সোচ্চার নেতৃত্বে দেখা গেছে ২৬ বছরের এই তরুণকে। সেজন্য তাকে যেতে হয়েছে 'আয়নাঘরেও'। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা নাহিদের ডাক নাম ফাহিম। তার বাড়ি ঢাকার খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রীতে। দুই বছর আগে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা 'গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি'র কেন্দ্রীয় সদস্য-সচিব ছিলেন নাহিদ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এই সংগঠনের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পিলখানা হত্যাযজ্ঞ :আওয়ামী লীগকে 'দুষলেন' ফখরুল যাযাদি রিপোর্ট ১৬ বছর আগে পিলখানায় দু'দিন ধরে চলা হত্যাকান্ডের পেছনে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা 'না নেওয়াকে' দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়, তখন যারা ক্ষমতায় ছিলেন হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে যোগসাজশে যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তারা এ ঘটনাগুলো করতে দেন। দু'দিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে।' মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো পালিত 'জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে' বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশের শত্রম্নরা ও সেনাবাহিনীর শত্রম্নরা চক্রান্ত করে বিডিআরের অভু্যত্থানের নাম করে সেনাবাহিনীর চৌকস ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তছনছ করে দেওয়ার অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের শত্রম্নদের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আঘাত হানা এবং সেনাবাহিনীর মনোবল যাতে নষ্ট হয়ে যায়, দুর্বল হয়ে যায়, সেজন্যই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছিল।' তিনি বলেন, 'তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ, অন্তত এটাকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আমরা প্রত্যাশা করব এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি উদঘাটন করা এবং যারা দায়ী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা।' দিনটিকে জাতির জন্য 'কলঙ্কজনক' মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আজকে আমরা দীর্ঘ বছর পরে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। দেশের রাজনৈতিক একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট শক্তিকে উৎখাত করে আমাদেরকে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে আজকে একটা নতুন বাংলাদেশ গঠন করার। শহীদ সেনা সদস্যদের এই আত্মত্যাগ যেন বিফলে না যায়। স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্নে যেন আমরা আপস না করি। আমরা যেন বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে করতে পারি- আজকে এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।' ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে। বিডিআরের দরবার হল থেকে সূচনা হওয়া ওই বিদ্রোহের ইতি ঘটে নানা ঘটন-অঘটনের মধ্য দিয়ে। পিলখানায় বিদ্রোহের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে জওয়ানরাও বিদ্রোহ করে। সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। বিদ্রোহ ও হত্যা মামলার বিচার হলেও ক্ষমতার পালাবদলের পর পুনরায় তদন্তের দাবি ওঠে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরের সাত সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। একসঙ্গে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনাকে 'জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি' দিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ২৫ ফেব্রম্নয়ারিকে 'জাতীয় শহীদ সেনা দিবস' ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রথমবারের মতো পালিত হওয়া এই দিবসের শুরুতে মঙ্গলবার ঢাকার বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।