সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে স্বৈরাচারের পুনরুত্থান হবে :বদিউল আলম

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংস্কারগুলো দ্রম্নততার সঙ্গে হওয়া উচিত। তাহলে দ্রম্নত একটি নির্বাচন হতে পারে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচারের পুনরুত্থান হবে। শনিবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সুজন আয়োজিত এক মানববন্ধনে বদিউল আলম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'কোনোভাবেই এটা চাওয়া নয়।' সুজনের সম্পাদক বলেন, 'আন্দোলন কিন্তু শুধু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচু্যত করার উদ্দেশে নয়; এটা ছিল স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিতরণ ও স্বৈরাচারী পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবর্তন। স্বৈরাচারী পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করেছিল।' বদিউল আলম আরও বলেন, 'শেখ হাসিনা আকাশ থেকে আবির্ভূত হননি, একটি পদ্ধিতির মধ্য দিয়ে তিনি তা হয়েছেন। এই পদ্ধতির সংস্কারের প্রয়োজন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে রাজনৈতিক অঙ্গনকেও পরিচ্ছন্ন করা লাগবে। নয়তো আবারও স্বৈরাচার তৈরি হবে। এই লুই কানের সুন্দর ভবনে যেন অসুন্দর মানুষ আর ঢুকতে না পারে।' এদিকে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে মার্কিন সরকার যে অনুদান দিয়েছে, সেই অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দিয়েছেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। কেউ নাম শোনেনি- এমন এক প্রতিষ্ঠান, যেটা চালায় মাত্র দুজন, সেই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার পেয়ে 'ধনী বনে গেছে' বলে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন। আর তারপর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয় বাংলাদেশে। কেউ কেউ সোশাল মিডিয়ায় দাবি করেন, ওই অর্থ পেয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বদিউল আলম বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সুজন কোনো নিবন্ধিত সংগঠন নয়। সুজন কোনো বিদেশি সাহায্য নিতে পারে না; সংগঠনটি পরিচালিত হয় বিভিন্ন ব্যক্তিদের সহায়তায়। এটা শুধু ফেইক নিউজ নয়, ডিপ ফেইক নিউজ; এর মধ্যে সামান্যতম সত্যতা নাই। স্বৈরাচারের দোসররা বিতর্কিত করার জন্য এসব অপতথ্য ছড়াচ্ছে।' মার্কিন তহবিলে বাংলাদেশের রাজনীতির জমিন শক্তিশালী করার যে প্রকল্প নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্ক উসকে দিয়েছেন, সেটি বাস্তবায়ন করেছে তার দেশেরই একটি এনজিও- ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। 'স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ' (এসপিএল) শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে বাস্তবায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। ২৯ মিলিয়ন (২ কোটি ৯০ লাখ) ডলারের এ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এসপিএল প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। মাত্র 'দুইজনের' এনজিওর যে কথা ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেছেন, তার বাস্তবতা পাওয়া যায়নি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত সোমবার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওই অনুদানের বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা।