জুলাই বিপস্নবের বীরদের অবজ্ঞা মানে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা

কাদের গণি চৌধুরী

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, জুলাই বিপস্নবের জাতীয় বীরদের অবজ্ঞা করা মানে জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করা। স্বৈরাচারারের পতনের পরও আজকে কেন এই জাতীয় বীরেরা বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে? তাহলে বিপস্নবের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী? জুলাই বিপস্নবের জাতীয় বীরেরা কষ্টে থাকবেন-আমরা তা মেনে নিতে পারিনা। যারা আজকে সরকারে আছেন, তাদের বলবো- আমরা লজ্জিত তাদের অবস্থা দেখে। চিকিৎসার জন্য তাদের ধর্না দিতে হবে কেন? প্রত্যেকের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে জুলাই বিপস্নবে আহত ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আয়োজক সংগঠন 'রিলিজিওয়ন ফর পিস বাংলাদেশ চ্যাপ্টার'কে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী জুলাই বিপস্নবীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে জুলাই বিপস্নবে আহত বীরেরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালে অবহেলা, চিকিৎসাহীনতা ও নিজেদের দুদর্শার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। 'রিলিজিওয়ন ফর পিস বাংলাদেশ চ্যাপ্টার'-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের নির্বাহী সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন জামিল, সংগঠনের প্রোগ্রাম ডিরেকটর ড. আমানুলস্নাহ খান, জুলাই বিপস্নবে গুলি খেয়ে চোখ হারানো ও আহতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দুর্জয় আহমদ বাচ্চু, আনোয়ারুল আজিম, ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান, কে এম নুরুলস্নাহ মন্ডল ও ফারুক আলম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ সেলিম রেজা। কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ফাসিস্টশাহীকে উৎখাতে রাজনীতিবিদরা যখন ব্যর্থ হয়েছেন, তারা যখন পিছু হটেছেন- তখন বাংলার দামাল ছেলেরা ৫২, ৬৯-৭০ ও নব্বইয়ের ছাত্র-জনাতার বিপস্নবের চেতনা ধারণ করে রাজপথে নেমে এসেছেন। বুকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছেন। তাদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালানো হয়েছে। রাজপথে কাটামুরগীর মতো ছটফট করতে করতে তারা লাশ হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন, শরীরে গুলি বয়ে বেড়াচ্ছেন-এমন নির্মমতা কোন রাষ্ট্র করতে পারেনা। তিনি বলেন, স্বৈরাচার ছাড়া কোন সরকার প্রধান ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিজের জনগণের উপর গুলি চালানোর এমন নির্দেশ দিতে পারে না। নিজ দেশের নাগরিকদের উপর রাষ্টের পুলিশ এভাবে গুলি চালাতে পারে না। কিন্তু ফ্যাসিস্টশাহী ক্ষমতা হারানোর শেষ পর্যায়ে এসে গুলিকে ক্ষমতা রক্ষার হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করে। আর আজকের এই যুবকেরাই সেই স্বৈরাচারকে প্রতিহত করেছে। তাদের অবহেলা করা মানে বিপস্নবের চেতনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা, জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা।