বগুড়ায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বগুড়া সদর উপজেলায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে করে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত মেয়ের দ্বিতীয় স্বামীকে দায়ী করেছেন স্বজনরা। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ওসি নাজমুল হক। নিহতরা হলেন- সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়া স্ত্রী ছকিনা বেগম (৩৫) ও তার মা আনোয়ারা বেগম (৫৮)। এ ঘটনায় ছকিনার দ্বিতীয় স্বামী উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়াকে দায়ী করেছেন নিহতের স্বজনরা। ছকিনার মামাতো ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, 'প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ছয় বছর আগে রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছকিনার বিয়ে হয়। এরপর থেকে ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে নিয়ে শহরের আকাশতারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে তালাক দেন ছকিনা। এরপর ছকিনা তার মা আনোয়ারাকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে আবার তার সংসারে ফিরে যায় ছকিনা। কিন্তু রুবেল তার স্বভাব পরিবর্তন না করায় ছয় মাস আগে আবার তাদের বিচ্ছেদ হয়।' তিনি বলেন, 'পরে মা ও মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় দুই শতাংশ জমি কিনে সেখানে টিনের বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। এক মাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে আবার বিয়ে করেন। এ খবর শোনার পর থেকে ছকিনার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন রুবেল।' ছকিনার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ বলেন, 'রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল বাড়িতে এসে মাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায় রুবেল রামদা দিয়ে মাকে কোপাতে শুরু করে। এ সময় নানী বাধ দিলে তাকেও কুপিয়ে পালিয়ে যায় রুবেল।' দুইজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত দেড়টার দিকে ছকিনা মারা যান। আর শনিবার বেলা ১১টার দিকে আনোয়ারা মারা যান। ওসি নাজমুল হক বলেন, 'ঘটনা ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় থেকে রক্ত মাখা রামদা উদ্ধার করে। তবে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মা ও মেয়ের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।'