রসাল ফলের গন্ধে মুখরিত শাহজাদপুরের জনপদ

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
'ঝড়ের দিনে মামার বাড়ি আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ' কবির সেই কবিতার মতই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের শহর ও গ্রামজুড়ে পাকা আম, জাম, লিচু আর কাঁঠালের গন্ধে এখন মুখরিত। মধুমাস হওয়ায় পৌর এলাকা ছাড়াও ১৩টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মৌসুমি পাকা ফলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে চারদিক। রসালো আম, জাম, লিচু গাছে পাখিদের কিচিমিচিতে এখন মাতাল প্রকৃতি। পাকা আম, জামে ভরপুর হয়ে গাছগুলো আবহমান বাংলার চিরচেনা দৃশ্য যেন নিবিড়ভাবে জানান দিচ্ছে। দুধ আমে ভাত খাওয়া শাহজাদপুরের সংস্কৃতির অংশ। বিশেষ করে জামাই আপা্যয়নে এর জুড়ি নেই। শুধু মেয়ের জামাই নয়, মধুমাসজুড়ে অতিথি আপা্যয়নে এ অঞ্চলে পাকা আম, জাম আর কাঁঠাল থাকবেই। তাই শাহজাদপুর শহর ছাড়াও গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে আম, জাম, কাঁঠাল বিক্রির ধুম পরে গেছে। সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার সর্বত্র আম, জাম, আর কাঁঠাল গাছ লক্ষ করা গেছে। বিশেষ করে এ উপজেলার প্রধান ফল এ দুটোই। তাই এ উপজেলায় আম ও কাঁঠাল চাষ বেশি করা হয়ে থাকে। উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চরকাদাই পূর্বপাড়া গ্রামের জুয়েল হক জানান, তিনি তার বাগানে হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপলি জাতে আম চাষ করেছেন। তার বাগানে প্রায় ৫০টি আম গাছ আছে। সবগুলোতেই আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। জুয়েল হকের মতো উপজেলার অনেকেই আম বাগান তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। উপজেলার ডায়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম সারোয়ার জানান, তার বাড়িতে বেশ কয়েকটি হাজারি জাতের কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এতে কয়েক হাজার কাঁঠাল ধরেছে। রোজার মধ্যেই সিংহভাগ পেকে যাওয়ায় তা বিক্রি শুরু করে দিেেয়ছেন। আর জাম বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ না হলেও উপজেলার ৩৪০টি গ্রামের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে গড়ে ২০ থেকে ৩০টি জামগাছ রয়েছে। এসব গাছের জাম পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জানান, শাহজাদপুরের বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে আম-কাঁঠাল বাগান গড়ে উঠেছে। সর্বত্রই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আম, জাম, কাঁঠালের ফলন ভাল হয়েছে। চাষিরা বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হচ্ছ্‌ে।