কর্মীদের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের মারামারি

ছয় ঘণ্টা পর পঙ্গুতে জরুরি সেবা চালু

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের মারামারির পর বন্ধ হয়ে যাওয়া জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা ছয় ঘণ্টা পর আবার শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মারামারির পর থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জরুরি বিভাগের টিকেট বিক্রি শুরু হয়। ডাক্তারও বসেন। হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, 'বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর মধ্যে রোববার রাতে বস্নাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা।' এর মধ্যে তাদের ওপর 'হামলা' হয় বলে দাবি করেন ওই কর্মী। তবে অভু্যত্থানে আহত মামুন বলেন ভিন্ন কথা। ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে আহত হওয়ার পর থেকে তিনি এ হাসপাতালে এখানেই ভর্তি রয়েছেন। তিনি বলেন, 'পুরো হাসপাতাল চালায় দালাল সিন্ডিকেট। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সকাল ১০টার দিকে ফিজিওথেরাপি নিতে যাওয়া আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের একদল কর্মচারী ও দালাল।' সংঘাতের পর কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারগুলো খালি দেখা গেছে। কয়েকজন টিকিট কাটতে পারলেও কোনো চিকিৎসা পাননি বলে জানান। সোমবার সকালে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগের আসেন হৃদয় নামের এক তরুণ। তার সঙ্গে আসা মো. আব্বাস বলেন, 'রোগীকে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। ব্যথায় চিৎকার করতেছে, কিন্তু কেউ অ্যাটেন করছে না।' নরসিংদী থেকে দুই বছরের শিশুকে নিয়ে আসা মো. ইয়াসিন বিকালে বলেন, 'আড়াই-তিন ঘণ্টা হল তারা হাসপাতালে এসেছেন, কিন্তু কোনো চিকিৎসা পাননি। বাচ্চাটা কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগে উঠে কাঁদতে শুরু করে। একজন ডাক্তার বা কর্মীও নাই হাসপাতালে।' যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান বিকালে বলেন, 'আমি এখন একটা মিটিংয়ে আছে। এখানে আর্মির কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যরা আছে। একটু পরে কথা বলছি।' পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবা কার্যক্রম শুরু হয়।