মন্ত্রিপরিষদ সচিবের তথ্য

মন্ত্রিসভার আকার বাড়ার কোনো তথ্য নেই

প্রকাশ | ১৮ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে কিনা- সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গণমাধ্যমে মন্ত্রিসভার আকার বৃদ্ধির আলোচনা থাকলেও এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, 'তথ্য থাকলে আপনারা জেনে যাবেন।' গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। তিন মাসের মাথায় মন্ত্রিসভায় সামান্য রদবদল আনা হয়। সে সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। এ ছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের অধীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়। আর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় জুনাইদ আহমেদ পলককে। স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। আর পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান স্বপন ভট্টচার্য। ঈদের পরে মন্ত্রিসভার আকার বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মন্ত্রিসভার সার্বিক দাপ্তরিক কাজ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে বলে খবর বেরিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোমবার মন্ত্রিসভার ব্রিফিং শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না, আমার পর্যায়ে আসেনি। আসলে তো আপনারা টের পাবেন। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন: বাংলাদেশ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানোনো হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সোমবার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিয়মিত এজেন্ডার বাইরে দুটি বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ১৯১ ভোটের মধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে ইকোসকের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এ সম্মান পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিপরিষদ অভিনন্দন জানিয়েছে। এটি একটি বিরল সম্মানের বিষয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। সচিব বলেন, এ ছাড়া বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অভিনেতা, চলচ্চিত্রকার অধ্যাপক মমতাজউদদীনের মৃতু্যতে মন্ত্রিপরিষদে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ট্যারিফ কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইনের ২০১৯ খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত এই আইন অনুযায়ী, কমিশনের প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য পরামর্শক বা গবেষণা সহকারী নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, এই ট্যারিফ কমিশনটি হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। এ বিষয়ে আইন হয় ১৯৯২ সালে। সেটিতে কিছু ঘাটতি ছিল। সময়ের প্রয়োজনে কিছু পরিবর্তন এনে এই সংশোধনটি করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে কমিশনের নামে কিছুটা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ছাড়া কমিশনের কাজের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয়তার বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।