আর দুই মামলায় জামিন পেলে মুক্তি পাবেন খালেদা

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯, ০০:২৮

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর দু'টি মামলায় জামিন পেলে কারামুক্ত হবেন বলে মনে করছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। যিনি একই সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ঢাকায় করা মানহানির দুই মামলায় মঙ্গলবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। মামলা দুটি হলো- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানি মামলা। খালেদা জিয়ার কারামুক্তি পেতে আর কয়টি মামলায় জামিন পেতে হবে এমন প্রশ্নে মওদুদ আহমদ বলেন, আর দুটো মামলা বাকি আছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা। এ দু'টিতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত। একটা আপিল বিভাগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। আরেকটা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা। যেটার আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্ট গ্রহণ করেছেন। অরফানেজ ট্রাস্ট: গত বছরের ৮ ফেব্রম্নয়ারি বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেন আদালত। সেই থেকে কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রম্নয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকও আবেদন করে। খালেদা জিয়া, অন্য আসামিদের আপিল ও দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। বাকিদের সাজা বহাল রাখেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এ আবেদনের সঙ্গে জামিনও চেয়েছেন খালেদা জিয়া। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট: গত ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এর বিরুদ্ধে গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়। উপস্থাপনের পর গত ৩০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদন্ড স্থগিত ও সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেন।