আদালতে নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের আদালত, আদালত প্রাঙ্গণ, বিচারক, বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কুমিলস্নার আদালতে বিচারকের খাস কামরায় এক আসামির অন্য আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাও জানাতে বলেছে আদালত। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার মৌখিক এ আদেশ দেন। কুমিলস্নার আদালতের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে রিট আবেদনের শুনানি ৩০ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ বাশার, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। গত সোমবার সকালে কুমিলস্নার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসের খাসকামরায় এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। নিহত যুবকের নাম ফারুক হোসেন (২৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহত আসামির ফুপাতো ভাই আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত সূত্র অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্টের হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ফারুক ও হাসান। সোমবার জামিনে থেকে ওই মামলায় হাজিরা দিতে আসেন তারা। এ সময় ফারুক ও হাসানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাসান কুমিলস্নার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় ছুরি নিয়ে ধাওয়া করেন ফারুককে। ফারুক আত্মরক্ষার্থে আদালতের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন আদালতের লোকজন হাসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ফারুককে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।