সোনালি আঁশে স্বপ্ন বুনছেন চাটমোহরের দশ চাষি

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

এমএস আলম বাবলু, চাটমোহর
ফলন হবে বিঘায় ১০ মণ হারে। বয়স ১০০ দিন হলেই জমি থেকে কাটা যাবে। কিন্তু তোষা-মেস্তা পাটের মতো আবাদের খরচ একই। এছাড়া কাটার পর আবাদ করা যাবে রোপা আমন ধান। পাটের নতুন জাত রবি-১'র সুবিধা এটা। পাবনার চাটমোহরের ১০ জন কৃষককে দিয়ে এই নতুন জাতের পাটের আবাদ করিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। পরীক্ষামূলক এ আবাদের ফলন নিয়ে খুব আশাবাদী খোদ কৃষি কর্মকর্তাসহ চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র নতুন জাতের পাটের এসব তথ্য জানিয়েছেন। ১০ জন কৃষকের একজন আব্দুল জলিল। জগতলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বলছিলেন- 'বাবা, পাটের গাছ তোষা-মেস্তা পাটের চেয়ে বড় হইছে (হয়েছে)। মোটাও বেশি। গোড়ার দিক থেকে মাথার দিকে ক্রমশ কিছুটা চিকন। আশা করতিছি (করছি) ১০ মণ হারে ফলন পাব। তিনি জানান, তোষা-মেস্তা পাটে ফলন হয় গড়ে ৭/৮ মণ হারে। নতুন জাতের পাটের আবাদের খরচ তোষা-মেস্তা পাটের মতোই।' চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ১০ জন চাষির প্রত্যেককে ৪০০ গ্রাম হারে বীজ দেয়া হয়েছে। কৃষক এ জাতের পাট আবাদে লাভবান হবেন বেশি আশাবাদী ওই অধিদপ্তর। চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান রশীদ হোসাইনী বলেছেন, 'পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট জাতটি উদ্ভাবন করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাটের ফলন খুব ভালো হবে, আশা করা যায়।'