কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মী

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ধামইরহাট (নওগাঁ) সংবাদদাতা
নওগাঁর ধামইরহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গত ১২ জুলাই ধামইরহাটের ফার্শিপাড়া মোজাফফর রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কর্মী সভার মাধ্যমে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ওই সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মাস্টারসহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে গত ১৮ জুলাই রাতে জেলা থেকে ধামইরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের জাহানপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাজিপাড়া গ্রামের কাউসার হোসেন বুলবুলকে আহবায়ক, ফেরদৌস হাসান ও আখড়াজুল ইসলাম চৌধুরীকে যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। অপর দিকে আজমল হোসেন চৌধুরী শাহানকে আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম ও নুরল ইসলামকে যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার খবর ধামইরহাটে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আহবায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। ঘোষিত উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে একই ব্যক্তি প্রভাষক আনিছুর রহমান মিন্টু এবং আনিছুর রহমান মিন্টুকে দুই বার সদস্য করা হয়েছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব নিস্তারকে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুই আহবায়ক কমিটিতে সদস্য রাখা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মাহবুবার রহমান চৌধুরী চপল বলেন, বিগত লড়াই সংগ্রামের রাজপথের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অপরিচিতদের দিয়ে উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার ফলে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী এ আহবায়ক কমিটি মেনে নিতে পারেনি। কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা নিয়মতান্ত্রিক বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন প্রয়োজনে আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন। সদ্য বিলুপ্ত পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজুয়ান হোসেন বলেন, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে ব্যক্তি স্বার্থে এ আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। কমিটি বাতিল করা না হলে অধিকাংশ সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মাস্টার বলেন, বড় দলের কমিটি করতে কিছুটা অসন্তোষ থাকবে। সকলেই যোগ্য কাকে ছেড়ে কাকে পদ দেয়া বড় কষ্টের। তবে অচিরেই এ সমস্যা কেটে যাবে। যাদের নাম দুই কমিটিতে এসেছে তাদের ব্যাপারে সংশোধনী দেয়া হবে। আহবায়ক কমিটির সদস্যদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের প্রস্তুতির খবর আমার জানা নেই।