সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার

ঈদগাহ মাঠে থাকবে পাঁচ স্তরের নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট রাজধানীর সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে জাতীয় ঈদগাহ এবং বায়তুল মোকাররমকেন্দ্রিক পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। ঈদগাহে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার স্বার্থে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছুই সঙ্গে আনতে পারবেন না মুসলিস্নরা। তবে পুলিশ প্রয়োজন মনে করলে জায়নামাজ ও ছাতা খুলে তলস্নাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেবে। শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, রাজধানীজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে সবচেয়ে বড় ও প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতকে ঘিরে সুদৃঢ়-সুসমন্বিত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। 'পুরো এলাকা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আন্তঃবেষ্টনী-বহিঃবেষ্টনী ঘিরে মোট পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা সদস্যদের বিপুল সংখ্যক সদস্য সাদা পোশাকে অবস্থান করবেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।' ডিএমপি কমিশনার জানান, ঈদগাহ মাঠে প্রবেশে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আব্দুল গণি রোড, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন মোড়সহ কয়েকটি বেরিকেড থাকবে। এসব রাস্তা দিয়ে ঈদগাহের দিকে হেঁটে আসতে হবে। 'ব্যারিকেডের ভেতরে সবাইকে তলস্নাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। যারা জামাতে আসবেন তারা সঙ্গে দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, ছুরি, দিয়াশলাই নিয়ে আসবেন না।' আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মাঠের প্রধান গেটে আবারো আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তলস্নাশি করা হবে। সেখানে দৈবচয়নের ভিত্তিতে আরও ব্যাপক তলস্নাশি চালানো হতে পারে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে আগত মুসলিস্নদের পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ঈদগাহে ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হবে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে। ঈদ উপলক্ষে আরো ৪-৫ দিন আগে থেকেই মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টে তলস্নাশি চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। যত্রতত্র কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়ে কমিশনার বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার জন্য নগরবাসীকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে সিটি করপোরেশন দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য সরিয়ে নিতে পারবে। কোরবানির বর্জ্য থেকে যেন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বৃদ্ধি না পায়, সে জন্য নগরবাসীকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এর আগে ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি কমিশনার স্পেশাল ওয়েপনস অ্যাড ট্যাকটিক্স (সোয়াট) এবং কে-নাইন (ডগ স্কোয়াড) দলের নিরাপত্তা মহড়া পরিদর্শন করেন।