হত্যার অভিযোগে স্বামী ও কন্যার পৃথক মামলা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কালাই (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই সোনার পাড়া গ্রামে গত বুধবার জমাজমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খোতেজা বেগম নামে একজন মহিলা খুন হন। এ ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার নিহত খোতেজা বেগমের স্বামী মোজাহার আলী জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং কন্যা খায়রুন নেছা কালাই থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মোজাহার আলীর দায়ের করা মামলায় মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শওকত হাবিব তালুকদারসহ নাম উলেস্নখপূর্বক ২০ জনকে আসামি করা হয়। আর খায়রুন নেছার দায়ের করা মামলায় ওই চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজনকে বাদ দিয়ে নাম উলেস্নখপূর্বক ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তবে উভয় মামলাতেই ১৫ জন আসামির নামের মিল পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিহত খোতেজা বেগমের কন্যা খায়রুন নেছা জানান, ঘটনাস্থলে যাদের দেখা গেছে, কেবল তাদেরকেই আসামি করা হয়েছে। নিহত খোতেজা বেগমের স্বামী মোজাহার আলীর দাবি, মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শওকত হাবিব তালুকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অন্য আসামিদের মারপিট ও খুন-জখমের হুকুম দিয়েছেন। তার হুকুম মতো আসামিরা কোদাল দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করাতেই তার মৃতু্য হয়েছে। জানা যায়, গত ৭ আগস্ট মোজাহার আলী, তার দুই ছেলে ওই জমিগুলোর আইল কাটতে যায়। পরে মোজাহার আলীর স্ত্রী খোতেজা বেগমও সেখানে যায়। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষ নুরন্নবী, তৈয়ব আলী ও মোফাজ্জল মেম্বার লোকজনসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের কাজে বাধা দেয় এবং বেধড়ক মারপিট করে এমনকি কোদাল দিয়ে আঘাত করে। এতে খোতেজা বেগম, খলিলুর রহমান এবং লুৎফর রহমান গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এবং পরে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোতেজা বেগম মারা যায় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ খান জানান, এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশনা মেনে একটি মামলা এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যার বাদী নিহত খোতেজা বেগমের স্বামী মোজাহার আলী। অপরদিকে, একই ঘটনায় নিহত খোতেজা বেগমের কন্যা খায়রুন নেছা থানায় পৃথক একটি এজাহারের আবেদন করলে, আবেদনটি তার বাবার দায়ের করা মামলার কপির সঙ্গে গেঁথে দেয়া হয়েছে।