প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন

এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্ত ১৭৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন 'আমরা তালিকা চূড়ান্ত করে বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠিয়েছি

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
অবশেষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক হাজার ৭৬৩টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে গত বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চূড়ান্ত ওই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলেই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন, 'আমরা তালিকা চূড়ান্ত করে বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।' জাবেদ আহমেদ আরও বলেন, 'যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান এমপিও পাবে।' তবে এই 'সামান্য' সংখ্যক এমপিও দেয়ার বিষয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক নেতারা। তাদের দাবি সবাইকে একসঙ্গে এমপিও দেয়া না গেলে আংশিকভাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে নতুন এমপিও দিতে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সূত্র জানায়, নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল ২০১০ সালে। এরপর থেকে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও পায়নি। সূত্রমতে, সারাদেশে এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্ত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ডিগ্রি (অনার্স-মাস্টার্স) পর্যায়ের কলেজ। এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ছয় হাজার ১৪১টি। যাচাই-বাছাই শেষে সব শর্ত পূরণ করে অথবা বিশেষ বিবেচনায় যোগ্য হয়েছে এক হাজার ৭৬৩টি। এমপিওভুক্তির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে চার হাজার ৪৯৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমপিও তালিকায় চূড়ান্ত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এক হাজারের মতো মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬০টির বেশি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৯০টির বেশি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ৫০টির বেশি ডিগ্রি (অনার্স-মাস্টার্স) পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, 'এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কাউকে বঞ্চিত করা হবে অমানবিক। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী সবার ব্যবস্থা করবেন। সবাইকে একসঙ্গে এমপিও দেয়া না গেলে সাময়িকভাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আংশিক এমপিও দেয়া হোক। পরে পর্যায়ক্রমে পুরো এমপিওভুক্ত করা হোক।' এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হচ্ছে যোগ্য সব প্রতিষ্ঠানকেই এমপিওভুক্ত করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মানোন্নয়ন ঘটালে সব প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ সম্প্রতি জানান, একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিতে চায় না। সব প্রতিষ্ঠানকে যোগ্যতা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে প্রতি বছর এমপিওভুক্ত করা হবে। এদিকে, মাধ্যমিক পর্যায়ের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আর এক হাজার স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেতন কাঠামোর আওতায় এনে এমপিওভুক্ত করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এই প্রস্তাবও চূড়ান্ত করা হয়েছে আগেই। তবে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো এখনো তৈরি করা হয়নি। \হ