বোয়ালখালীতে চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে নির্যাতন

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

বোয়ালখালী সংবাদদাতা
বোয়ালখালীতে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে পুরুষাঙ্গে গরম লোহার শিক ঢুকিয়ে মো. আশিক (২৪) নামের এক যুবককে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার বোয়ালখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আশিকের পিতা আবুল কালাম। বোয়ালখালী পৌরসভার গোমদন্ডী মুজাহিদ চৌধুরী পাড়ার নকীব আলী চৌধুরী বাড়ির আবুল কালামের ছেলে মো. আশিক নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে রয়েছেন। আশিকের পিতা আবুল কালাম পেশায় একজন দিনমজুর। আশিকের পিতা আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরের রান্নার জন্য দোকান থেকে ডিম কিনতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন যুবক দুটি ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে অলিবেকারী চাইলদ্যাতল এলাকা থেকে আশিককে অটোরিকশায় তুলে পৌরসদরের রেললাইনের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এরপর ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে আশিককে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা লোহার শিক আগুনে গরম করে পুরুষাঙ্গের ছিদ্রপথে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় আশিকের সাথে থাকা ডিম সিদ্ধ করে পায়ুপথে দেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় আশিক অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পর্যন্ত নিয়ে গেলে আশিকের জ্ঞান ফিরে আসায় ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে চিকিৎসা বাবদ ২০ হাজার টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয় তারা। এক পর্যায়ে আশিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। উপায়ন্তর না দেখে হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে প্রাইভেট চিকিৎসা করানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে আশিককে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে বর্বরতা চালানো হয়েছে। ছেলেটি বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ যে ছাগল দুটি চুরি হয়েছে বলে এ নির্যাতন চালানো হয় সেই ছাগল দুটি উপজেলার একটি বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাহলে বিনাবিচারে বিনা অপরাধে এ কোন ধরনের শাস্তি পেল ছেলেটি। বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন ফারুখী বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের দ্রম্নত আইনের আওতায় আনা হবে।