বাদল হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্ত মো. বাদল মিয়াকে হত্যা করায় খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আশিক্কীনে আউলিয়া পরিষদ, জয় বাংলা মঞ্চ ও কেরানীগঞ্জ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাসুম বিলস্নাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এসএএম সামছুল হক নূরী, বাকশাল মহাসচিব কাজী মো. জহিরুল কাইয়ূম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এমএ মোস্তাক ভাসানী, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, জাসদ মহানগরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ন কবির, জিনজিরার ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার নূর মোহাম্মদ, পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা মুসলমান। ঈদুল আজহা আমাদের ধর্মের শীর্ষ উৎসব। ত্যাগের মহিমায় আনন্দময় হৃদয় নিয়ে মানুষ যখন কোরবানির পশুক্রয়ের জন্য বিভিন্ন হাটে দৌড়ঝাঁপ করছে ঠিক এমনই মুহূর্তে সাচ্চু সন্ত্রাসী বাহিনী একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. বাদল মিয়া সুরেশ্বরীকে তার দোকান থেকে তুলে এনে সাইনিং স্কুলের বারান্দায় হাত-পা বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করে। যা চাঞ্চল্যকর বর্বরোচিত একটি জঘন্য হত্যাযজ্ঞ। নিহত বাদল সহজ সরল প্রকৃতির একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। এলাকার লোকজন তাকে ভালো মানুষ হিসেবে জানে। অন্যদিকে, সন্ত্রাসী সাচ্চু বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সমাজের সাধারণ নিরহ মানুষ অতিষ্ঠ। এ সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ভীতির মধ্যে দিয়েই এলাকায় নিরহ লোকজন বসবাস করে আসছে। বক্তরা আরো বলেন, সন্ত্রাসী সাচ্চু বাহিনী নিহত বাদল মিয়ার ছোট ছেলে স্বপনের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তার কাছ থেকে ৮টি ছাগল জোর করে কেড়ে নেয় এবং তাকে সন্ত্রাসীরা বেধম মারধর করে। খবর পেয়ে স্বপনের বড় ভাই সজল মিয়া ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও মারাত্মকভাবে আহত করে। পরবর্তী সময়ে ওদের বাবা নিহত বাদল মিয়া ঘটনাস্থলে এসে মীমাংসা করে ছেলেদের নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। জুম্মার নামাজের পর বাদল মিয়া আমিরাবাগ বাদাম গাছতলায় অবস্থিত তার দোকানে অবস্থান নিলে সাচ্চুর সন্ত্রাসী বাহিনী বাদল মিয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে রহমতপুর খাইটাপট্টি সাইনিং কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বারান্দায় হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।