মেয়র বিদেশে তাই মশকনিধন বন্ধ!

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মশা নিধনে গত মঙ্গলবার চিরুনি অভিযান শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকায় গত দুদিন ধরে এ অভিযান বন্ধ রয়েছে। যদিও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রতিদিন এ অভিযান চলবে। গত বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল জোন ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের সমাপনীতে যোগ দিতে ডিএনসিসি মেয়র নেপাল গেছেন। চিরুনি অভিযান শুরু করার বিষয়ে ডিএনসিসি থেকে বলা হয়, এডিস মশার লার্ভা নিধনে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সংস্থাটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান শুরু করা হয়। ডিএনসিসি মেয়র ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুলস্নাহ আবু সায়ীদ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তবে উদ্বোধনের দিনসহ তিন দিন চলার পর শুক্রবার থেকে অভিযান বন্ধ রয়েছে। যদিও শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের এ ছুটি বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়। শুক্র ও শনিবার সরেজমিন ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে মশকনিধন অভিযানের কাউকে দেখা যায়নি। একাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা শুক্র ও শনিবার কাজ করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএনসিসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, 'বর্তমানে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল রয়েছে। সবাইকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করার নির্দেশ রয়েছে।' তিনি স্বীকার করেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য পরীক্ষামূলক কর্মসূচি (চিরুনি অভিযান) শুক্র ও শনিবার বন্ধ ছিল। কর্মীরা কাজ করেননি। মেয়র দেশে থাকলে এই অভিযান বন্ধ রাখা যেত না বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, 'আমরা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু করি। রোববার থেকে একই স্টাইলে ৩৫টি ওয়ার্ডে কাজ শুরু হবে।' দুদিন অভিযান না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'শুক্রবারের বিষয়ে আমি একটি জায়গা থেকে অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে অভিযান চালানোর বিষয়ে এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। কিন্তু আমি জানি, কর্মীরা কাজ করেছেন। আর চিরুনি অভিযান তো আমরা শুধু একটি ওয়ার্ডেই করছি। শুনেছি মেয়রকে বলা হয়েছে, শুক্রবারটা একটু কর্মীদের রিলাক্স দেয়ার জন্য। কিন্তু ফাইনালি কী হয়েছে, আমি জানি না।' বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলে জানান। তবে অভিযান শুরুর দিনই বাড়ির মালিকদের এক ধরনের বাধার মুখে পড়ে ডিএনসিসি। বাড়ির দরজা বন্ধ, লিফটের ডিভাইস খুলে রাখা, ছাদে তালা দিয়ে দেয়াসহ নানা কান্ড ঘটান তারা। মেয়র আতিকুল ইসলামও এমন অভিযোগের কথা স্বীকার করেন। বাংলা ট্রিবিউন