'কিশোর গ্যাংয়ের' ১৭ সদস্য সংশোধনাগারে

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ছিনতাই ও মাদক সেবন-বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে শনিবার সকালে রাজধানীর রায়েরবাগ থেকে ১৭ কিশোরকে আটক করের্ যাব -যাযাদি
ছিনতাই ও মাদক সেবন-বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে রাজধানীতে আটক ১৭ কিশোরকে সংশোধনাগারে পাঠিয়েছের্ যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রায়েরবাজার থেকে তাদের আটক করা হয় বলের্ যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি চাপাতি, দুটি হান্টার (বিদু্যতের তার পঁ্যাচিয়ে তৈরি লাঠি), দুটি স্টাম্প ও ৯০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান। র্ যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম তাদের এক বছরের জন্য গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠান। মহিউদ্দিন বলেন, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী এ কিশোরদের মধ্যে ১৫ জন 'স্টার বন্ড' ও দুজন 'মোলস্না রাব্বি' নামে ফেসবুকভিত্তিক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তারা ছিনতাই ও মাদক সেবন-বিক্রিসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কিশোরদের মধ্যে স্কুলে পড়ুয়া কেউ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'তারা মূলত ভাসমান। বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে থাকে এবং গ্রম্নপ বেঁধে মারামারি করে।' এ ব্যাপারের্ যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, গত এক বছর আগে 'মোলস্না রাব্বি' নামে কিশোর গ্রম্নপের হামলায় 'স্টার বন্ড' গ্রম্নপের এক সদস্য নিহত হয়। গত শুক্রবার ছিল নিহত ওই কিশোরের মৃতু্যবার্ষিকী। এ উপলক্ষে 'স্টার বন্ড' গ্রম্নপ মসজিদে মিলাদের আয়োজন করে এবং মিলাদের ছবি 'স্টার বন্ড' গ্রম্নপের ফেসবুক গ্রম্নপে পোস্ট করার পর 'মোলস্না রাব্বি' হা হা হা রিয়েকশন দেয়। তা দেখেই স্টার বন্ড গ্রম্নপের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে চাপাতি, হাঁসুয়া, ছুরি নিয়ে দলবলে মোলস্না রাব্বি গ্রম্নপের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় সমবেত হয়। ওইদিন জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা টহলে নিয়োজিত ছিলর্ যাব-২ ব্যাটালিয়নের কয়েকটি দল। স্টার বন্ড গ্রম্নপের সদস্যদের সশস্ত্র অবস্থান দেখে সাদা পোশাকেরর্ যাবের দুই সদস্য তাদের জিজ্ঞাসা করলে কোপানোর উদ্দেশ্যে তাদের ধাওয়া করে কিশোররা। তবে ভাগ্যক্রমে সাদা পোশাকেরর্ যাবের ওই দুই সদস্য সেখান থেকে নিরাপদে ফিরেন। এরপর শনিবার বেলা ১১টা থেকে স্টার বন্ড গ্রম্নপের সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকার পৃথক তিন স্থান থেকে কিশোর গ্রম্নপের ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। সারওয়ার আলম বলেন, গ্রেপ্তার প্রত্যেক কিশোরই মাদক সেবন ও বিক্রি এবং ছিনতাইয়ে জড়িত। এছাড়া দুই কিশোর গ্রম্নপের দ্বন্‌েদ্বর কারণে এলাকায় অরাজকতা ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করতো। প্রত্যেকে মাদক বিক্রি ও সেবনসহ ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় এক বছর করে কারাদন্ড দিয়ে টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। মোলস্না রাব্বি গ্রম্নপের সদস্যদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।