ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি, বর্ষীয়ান নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের চতুর্থ ও শেষ নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
রোববার সকাল সোয়া ১০টায় কুমিলস্না টাউন হল মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে মোজাফফর আহমদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে নিয়ে গেলে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হন। বাদ জোহর এলাহাবাদ গ্রামে চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। এ সময় স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, কুমিলস্না-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিলস্না-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের হাই কমিশনার মো. হান্নান, ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মোস্তাকুর রহমান ফুল মিয়া প্রমুখ। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মৃতু্যতে একটি শোক বই খোলা হয়েছে।
উপমহাদেশের বাম রাজনীতির অন্যতম পুরোধা, মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীর বেঁচে থাকা সর্বশেষ সদস্য ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ-মোজাফফর) প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ৯৭ বছর বয়সে শুক্রবার রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
