বিএনপির এজেন্ট নেতাকমীের্দর গণগ্রেপ্তার নয়

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চন কেন্দ্র করে বিএনপির মেয়র প্রাথীর্র নিবার্চনী নেতাকমীর্, সমথর্ক ও এজেন্টদের গণহারে গ্রেপ্তার যেন না করা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে অ্যাটনির্ জেনারেল মাহবুবে আলমকে মৌখিক নিদের্শনা দিয়েছেন হাইকোটর্। একইসঙ্গে পুলিশ বা অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই সিটি নিবার্চনের বিএনপির মেয়র প্রাথীর্র সমথর্ক, এজেন্ট এবং প্রচারকারীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে বøাস্টের মামলায় আপিল বিভাগের দেয়া গাইডলাইন অনুসরণ করতে কেন নিদের্শনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এ ছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, নিবার্চন কমিশন (ইসি), পুলিশের মহাপরিদশর্ক (আইজিপি), গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) আটজন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান, সানজিদ সিদ্দিকী প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটনির্ জেনারেল মাহবুবে আলম। আদেশের পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নিবার্চনের আগের দিন রাতে ও নিবার্চনের দিন যাতে কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে অ্যাটনির্ জেনারেলকে আদালত মৌখিক নিদের্শনা দিয়েছেন। এর আগে গত ২৫ জুন গাজীপুরে বিএনপি নেতাকমীের্দর গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের নিদের্শ চেয়ে হাইকোটের্ রিট করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনের বিএনপির মেয়র প্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকার রিটটি দায়ের করেন। রিটে গ্রেপ্তার বিষয়ে আপিল বিভাগের নিদের্শনা ভঙ্গ করে গাজীপুরে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নিদের্শনা চাওয়া হয়েছিল। রিট আবেদনে বলা হয়, গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের নিবার্চনী প্রচারণার সময় বিএনপির নেতাকমীের্দর যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা আইনসম্মত নয় এবং সুপ্রিমকোটের্র বøাস্ট ভাসের্স রাষ্ট্র মামলার রায়ের পরিপন্থি।