গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে স্বাবলম্বী নবীগঞ্জের মুকিত

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আব্দুল মুকিত -যাযাদি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাফটিং প্রযুক্তিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষক আব্দুল মুকিত। তার উৎপাদিত টমেটো বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে টমেটো চাষ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষকদের পুষ্টি ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে তিন বছর ধরে টমেটো চাষ করে আসছেন আব্দুল মুকিত। গত বছর মুকিত তার বাড়ির সামনে ৩৫ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এই টমেটো বিক্রি করে তিনি ৭ লাখ টাকার উপরে আয় করেছেন। গত বছর লাভ হওয়ায় এবার তিনি ৬০ শতক জায়গায় প্রায় ৪ হাজার টমেটোর চারা রোপণ করেন। ৬৫ দিনের পরিচর্যায় টমেটোর গাছে ফুল আসে এবং টমেটো ধরা শুরু হয়। কৃষক আব্দুল মুকিত জানান, তিন বছর আগে কৃষি অফিসের দ্বারস্থ হন তিনি। ফসল চাষের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ উচ্চমূল্যের ফসল চাষের পরামর্শ দিয়েছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার এ কে এম মাকসুদুল আলম। এ ছাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম নিয়মিত গিয়ে খোঁজখবর দিয়ে সহযোগিতা করতেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসরের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আধুনিক জাত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ, কে, এম, মাকসুদুল আলম জানান, আব্দুল মুকিত টমেটো চাষে লাভ হওয়ায় এ বছর আরও বড় পরিসরে আবাদ শুরু করেছেন। জৈব সার ব্যবহার করে টমেটো চাষ করায় গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে বিষমুক্ত টমেটো সরবরাহের লক্ষ্যে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক তদারকি ও পরামর্শে এ এলাকায় টমেটোর চাষ করছেন কৃষকরা। ক্রমেই তারা খোরাকি কৃষি হতে লাভজনক কৃষিতে ঝুঁকছে। উলেস্নখ্য, সারাবছর টমেটোর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আবহাওয়াগত কারণে সাধারণত বাংলাদেশে শুধু শীতকালেই এই সবজির চাষ হয়ে থাকে। সিলেট অঞ্চল বৃষ্টিবহুল হওয়ায় এ অঞ্চলে গ্রীষ্ম বা বর্ষাকালে টমেটো চাষ বেশ কষ্টকর। অসময়ে ফলন ও উচ্চমূল্য প্রাপ্তির কারণে কৃষক আব্দুল মুকিতসহ অন্য কৃষকদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এবং কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।