সামনে বড় আন্দোলন মানববন্ধনে ফখরুল

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-নেত্রীরা -যাযাদি
সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সামনে 'বৃহত্তর আন্দোলনের' হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, 'আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই দলমত নির্বিশেষে, সকল দল মিলে আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, আমাদের অধিকার ফিরে পাবার জন্য আসুন আমরা আজকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। 'স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আজকে ঐক্যবদ্ধ হই। সামনের দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন তৈরি করে এই দানব সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব ইনশালস্নাহ।' খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তার ডায়াবেটিস অত্যন্ত বেড়ে গেছে, আর্থাইটিস বেড়ে গেছে, ঘাড়ের ব্যথা বেড়ে গেছে। তিনি কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না, চলতে পারেন না। হুইল চেয়ারে চলতে হচ্ছে তাকে। 'এই সরকার এবং তার কর্মকর্তারা আছেন, পিজির (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ আছেন, তারা বলছেন যে, তিনি (খালেদা) নাকি সুস্থ রয়েছেন। তিনি একেবারেই সুস্থ নন। আজকে অসুস্থ অবস্থায় তিনি কারারুদ্ধ হয়ে দিনাতিপাত করছেন। আমরা অবিলম্বে অসুস্থ নেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দাবি করছি।' খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সময় বিএনপি মহাসচিব নিজেই স্স্নোগান ধরেন- 'জিয়ার সৈনিক এক হও', 'মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই'। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে ফখরুলের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশ নেন। বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা এই কর্মসূচি হয়। গত বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে কয়েকবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন করেছে বিএনপি। সর্বশেষটি হয়েছিল গত ৬ মার্চ। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হচ্ছে না বলে দাবি করেন ফখরুল। তিনি বলেন, 'আজকে তারা বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা নাই, সেই সাহস নাই। তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। দুই বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত পাঠাতে পারে নাই। 'আরেকদিকে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী বন্ধুদেশের আসামের মন্ত্রী-নেতারা হুমকি দিচ্ছেন, বাংলাদেশি যারা অনুপ্রবেশকারী, তাদের তারা ঠেলে ফেরত পাঠাবে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, কোনো বাংলাদেশি কখনো ভারতে যায় নাই স্বাধীনতার পরে। আজকে গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে বাংলাদেশকে আবার বিপদগ্রস্ত করার জন্য, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য।' মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ নেতা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু বক্তব্য রাখেন।