ছাত্রদলের কাউন্সিল আটকে গেল আদালতে

বিএনপির তীব্র নিন্দা

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:৫৫

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪র্থ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এ স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। বিদায়ী ছাত্রদলের সাবেক ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক আমানউলস্নাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়। আবেদনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ নেতাকে বিবাদী করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা জজ আদালতের নাজির তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এই আদেশের কপি বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন। বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার নিষেধাজ্ঞার খবর নিশ্চিত করে বলেন, আমানউলস্নাহ নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেছেন, যিনি ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি বাদ পড়ায় মামলার বিবরণীতে অন্যায়ভাবে অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে উলেস্নখ করেছেন। বিষয়টির সুরাহা চেয়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে রাতেই বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা আইনজীবীদের সাথে বৈঠক করেন। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে আইনিভাবে বিষয়টি সুরাহা করতে আইনজীবীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি সরকারি ষড়যন্ত্রের অংশ। এজন্য আইনি লড়াই চলবে। একই বিষয়ে ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্সিল করা সম্ভব হবে না। তবে আইনি লড়াই করে দ্রম্নত সময়ের মধ্যে কাউন্সিল করা হবে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৭ বছর পর আগামীকাল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তাতে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। এর আগে গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে, তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। তখন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাত্রদলের 'বয়স্ক' নেতাদের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করে। বাদ পড়া নেতারা বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে টানা বিক্ষোভ করে। ফলে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হন দায়িত্ব পাওয়া নেতারা। ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়াররম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলে তাদের শান্ত করেন।