ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর (গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত) রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ভর্তি হন ৮০ হাজার ৪০ জন রোগী। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৪৪ হাজার ৬৬৭ জন ও বিভাগীয় শহরে ৩৫ হাজার ৩৭৩ জন ভর্তি হন। ভর্তি এসব রোগীর মধ্যে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৬ হাজার ৯৩৭ জন। বর্তমানে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২ হাজার ৯০০ জন। এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার। ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ঢাকা শহরে ১২টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ২৬ হাজার ৩৪০ জন ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১৮ হাজার ৩২৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ভর্তি মোট রোগীর মধ্যে ঢাকা বিভাগে (ঢাকা শহর ছাড়া) ৮ হাজার ৯২৪ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৮৮ জন, খুলনায় ৬ হাজার ৮৯০ জন, রংপুরে ১ হাজার ৮৪৩ জন, রাজশাহীতে ৩ হাজার ৮৪০ জন, বরিশালে ৪ হাজার ৯০৫ জন, সিলেটে ৮৬৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ২০ জন রোগী ভর্তি হন। জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) এখন পর্যন্ত মোট ২০৩ জনের মৃতু্যর তথ্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১০১ জনের মৃতু্য পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ৬০ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। যশোরে এক নারীর মৃতু্য এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যশোরে আরও এক নারী মারা গেছেন। তার নাম মেহেরুন নেছা (৪০)। তিনি মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের সালামতপুর এলাকার আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি মারা যান বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতু্যবরণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে। মেহেরুন নেছার দেবর ইসলাম জানান, ৬ সেপ্টেম্বর তার ভাবি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে ১০ সেপ্টেম্বর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার ব্রেনস্ট্রোক হয়। এর পর ডাক্তাররা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। ওই দিনই আমরা তাকে খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাই। ১১ তারিখে রোগীর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও ১২ তারিখে ডাক্তাররা তার আশা ছেড়ে দেন এবং তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ১২ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে রোগীকে বাড়ি নিয়ে আসার পথে রাতেই তিনি মারা যান।