ভাদ্রের বিদায়বেলায় সারাদেশে শ্রাবণধারা

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এবার শ্রাবণের ঘোর বর্ষাকালে সারাদেশেই বৃষ্টি কম হয়েছে। ভাদ্রের অবস্থা ঠিক যেন উল্টো। ভ্যাপসা গরম নেই। প্রকৃতিতে পুরোদস্তুর বর্ষার রূপ। ছিটেফোঁটা নয়, একেবারে ভারী বৃষ্টি ঝরছে দেশজুড়ে। বৃষ্টির মাত্রা এতটাই বেশি যে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুধু সাগর নয়, উত্তাল হয়ে আছে নদনদীও। এ জন্য নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে হবে। তবে এখনকার বৃষ্টির ধরনটা কেমন যেন অন্য রকম। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ঝপঝপ করে হচ্ছে বৃষ্টি। এক কিলোমিটারের কিছুটা দূরে মহাখালীর উড়ালসড়কের সামনে বৃষ্টি হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, আকাশে প্রচুর কালো মেঘের উপস্থিতি আছে। বাতাসের কারণে এই মেঘগুলো স্থির থাকছে না। দ্রম্নত ভেসে যাচ্ছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। কালো মেঘ দ্রম্নত সরে সরে যাওয়ায় স্বল্প দূরত্বের এলাকার মধ্যে বৃষ্টির তারতম্য হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, মৌসুমি বায়ুর কারণে এখন দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার সকালে পূর্বাভাস থেকে জানা যায়, মৌসুমি বায়ু ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। এই বায়ুর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তবে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলায়। একই সময় রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১০ মিলিমিটার। তবে দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে তুলনামূলক ভারী বৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, মেঘালয়, সিকিম, অরুণাচল, উত্তরাখন্ডসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল থেকে এসব অঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা কমে আসতে পারে।