জামালপুর হাসপাতালে ৫ মিনিটে ২ শিশুর মৃতু্য

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি নবজাতকের মৃতু্যর পর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনেছেন তাদের স্বজনরা। তবে চিকিৎসক বলছেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ওই শিশু দুটির মৃতু্যর কারণ। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঝালুরচর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের ৯ দিন বয়সি মেয়ে সামিয়ার শ্বাসকষ্ট হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রাত সাড়ে ৮টায় শিশুটির মৃতু্য হয়। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। নার্সদের ডেকেও পাওয়া যায়নি। সামিয়ার নানি আজিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি করলে তার নাতনিকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেয়া হয়। রাত ৮টার পর শিশুটি তিন বার হেঁচকি দিলে নার্সদের ডাকেন তিনি। কিন্তু নার্স অনেক পরে আসেন, ততক্ষণে শিশুটি মারা যায়। সামিয়ার মৃতু্যর ৫ মিনিট পর মারা যায় একই ওয়ার্ডে ভর্তি ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল এলাকার কৃষক সোবাহান মিয়ার দুই দিন বয়সি মেয়ে শিশুটি। এই শিশুটিকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। শিশুটির নানি ফরিদা বেগম বলেন, শিশু সামিয়া মারা গেলে তার নাক থেকে অক্সিজেন খুলে তার নাতনির নাকে লাগানোর পর পরই মারা যায়। এ সময় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক ছিলেন না। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই শিশুর মৃতু্যর ঘটনায় ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. তাজুল ইসলাম দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে দুই শিশু মারা গেছে। দুই শিশুর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। স্যালাইন বা অক্সিজেন দেয়ার কারণে মারা যাওয়ার কোনো কারণ নেই।' হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৫ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও ৭০ জন শিশু ভর্তি আছে বলে জানান ডা. তাজুল।