ডুবে যাওয়া জাহাজে ইস্পাত ও মেশিনারি পণ্যই বেশি

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাছে ডুবে যাওয়া 'এমভি গালফ আরগো' জাহাজটিতে ছিল বিএসআরএম, কেএসআরএম'র ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল ও মেশিনারি। এর বাইরে মেট্রোরেলের কিছু সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন আমদানিকারকের প্রসাধন সামগ্রী ছিল ওই জাহাজে। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট ও মালিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিএসআরএম গ্রম্নপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, 'পায়রার কাছে ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ১২০ কনটেইনার আমদানি পণ্য ছিল। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে বিএসআরএমের ৫৩ কনটেইনার পণ্য ছিল। এর মধ্যে ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল, ফার্নেসের উন্নতমানের ব্রিকস ইত্যাদি রয়েছে।' কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে পায়রা সমুদ্রবন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে পৌঁছলে জাহাজটির দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এ সময় সাগর উত্তাল থাকায় কনটেইনারসহ নিয়ন্ত্রণহীন জাহাজটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে গভীর সমুদ্রে টহলরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ 'বানৌজা সাঙ্গু' তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালায় এবং ১৪ নাবিককে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া নাবিকেরা হলেন- জাহাজের ক্যাপ্টেন কাজী আব্দুলস্নাহ আল মুহিত (৩৫), চিফ ইঞ্জিনিয়ার হাসান রেজা খালিদ (৩২), চিফ অফিসার কাজী মাহবুব আলম (২৮), সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নূর আলম হিমেল (২৬), থার্ড মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন (২৪), বোসনমেট রফিক উলস্নাহ (৫৯), অ্যাবল সীম্যান মো. জুবায়ের হোসেন (২৪), অর্ডিনারি সীম্যান সুজন মুখার্জী (২০), অর্ডিনারি সীম্যান মো. সাহাবুদ্দিন (২১), শাহাদাত হোসেন (৩৭), জমিরুল ইসলাম (৩০), শহিদ মিয়া (২৩), মো. রাজু (২৫) এবং আব্দুর রশিদ (৫০)। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্টের একজন কর্মকর্তা জানান, 'জাহাজটিতে কোন প্রতিষ্ঠানের কী পরিমাণ পণ্য ছিল তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে। আমরা শুধু কনটেইনার নাম্বার ও ওজন জানি। বাকি তথ্যগুলো মেইন লাইন অপারেটর জানবে। কারণ কয়েক ধাপে আইজিএম দাখিল করা হয়।' এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভেসে যাওয়া কনটেইনারগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে। ইস্পাত শিল্পের কাঁচামালগুলো উদ্ধারের পরও ব্যবহারের আশা থাকলেও প্রসাধনসহ অন্যান্য সামগ্রী নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।