হাজারো শিশুর কণ্ঠে ধরিত্রী সুরক্ষার ডাক

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষার আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এক জমায়েতে পস্ন্যাকার্ড প্রদর্শন করে দুই শিক্ষার্থী -যাযাদি
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে হাজারো শিশু। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জাতীয় সংসদের পাশে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জমায়েত হয় রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং তা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন পস্ন্যাকার্ড প্রদর্শন করে। স্থপতি ইকবাল হাবিব, পরিবেশকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হক ও উপন্যাসিক সাদাত হোসাইনসহ অধিকারকর্মীরা বক্তব্য দেন। রিজওয়ানা বলেন, ধনী দেশগুলোর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু ও পরিবেশগত নানা বৈরী আচরণ দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব রোধ করতে না পারলে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকবে না। বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার কীভাবে চালু করা যায় সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি নিয়ে বাংলাদেশের শিশুরাও সোচ্চার হয়েছে। আগামীর পৃথিবী এই শিশুদের জন্য। তাই এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলবার অধিকার অবশ্যই শিশুদের রয়েছে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্যর্ যালিতে অংশ নেয় শিশুরা।র্ যালি শেষে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় শপথ নেয় তারা। মিরপুর আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র সায়েম হাসান সত্য বলেন, "আজকের এই ছুটির দিনে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে আমরা হাজির হয়েছি। পৃথিবী ও জলবায়ুর ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মসূচি যাতে আমাদের সংসদ থেকে না আসে সেই বার্তা দিতে আমরা এখানে এসেছি।" বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থানবার্গের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুদের প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে শিশুরাই কর্মসূচি পালন করে। শিশু-কিশোর নেটওয়ার্ক ন্যাশনাল চিলড্রেন্স টাস্কফোর্স, গার্লস গাইড এবং রোভার স্কাউটের নেতৃত্বে ও ব্যবস্থাপনায় শিশুদের এ কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এবং গ্রিন স্যাভার্স অ্যাসোসিয়েশন। ১৬ বছর বয়সী গ্রেটা থানবার্গ একজন জলবায়ু কর্মী। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০১৮ সালের আগস্টে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে 'স্কুল স্ট্রাইক ফর দ্য ক্লাইমেট' লিখিত একটি পস্ন্যাকার্ড হাতে প্রতি শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে এই আন্দোলন নিয়ে তিনি বিভিন্ন পস্নাটফর্মে কথা বলতে শুরু করেন। এর নামকরণ করেন 'ফ্রাইডেস ফর ফিউচার'। সারা বিশ্বে শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।