রাইডশেয়ারিং: নিবন্ধনে আগ্রহ নেই

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

কিশোর সরকার
রাইডশেয়ারিংয়ে যানবাহন চালানোর জন্য নিবন্ধন নেয়ার নিয়ম থাকলেও তা নিতে আগ্রহ নেই চালকদের। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে ৬টি কোম্পানির মাত্র ছয়শ মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নিয়েছেন। অথচ বিভিন্ন কোম্পানির রাইডশেয়ারিংয়ের অ্যাপসের মাধ্যমে কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ মোটরসাইকেল পরিচালিত হচ্ছে। যার শতকরা ৯০ ভাগ মহানগরীতেই চলাচল করছে। জানা গেছে, সারাদেশে বিআরটিএর নিবন্ধিত ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮টি যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে ২৭ লাখ ২২ হাজার ৩৭৯টি মোটরসাইকেল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগরীতে। বিআরটিএর রাইডশেয়ারিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পিকমি লিমিটেড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড, সেজেন্টা লিমিটেড, ওভাই সলিউশন্‌ লিমিটেড, চালডাল রিমিটেড ও আকাশ টেকনোলজি রাইডশেয়ারিং কোম্পানি তাদের নামের নিবন্ধন নিয়েছে। আর এ ৬টি কোম্পানির মাত্র ছয়শ মোটরসাইকেলের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি ৬টি কোম্পানির নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন নেয়া মোটরযানে সামনে '৯৯৯' লেখা স্টিকার দেখা গেলেই বোঝা যাবে এটি রাইডশেয়ারিংয়ের যানবাহন। জানা গেছে, বিআরটিএর রাউডশেয়ারিং নীতিমালা অনুযায়ী ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, মোটরকার (প্রাইভেটকার), জিপ, মাউক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স নিজে চলাচলের সময় রাউডশেয়ারিং বা যাত্রী পরিবহন করার নিয়ম রয়েছে। এদিকে ঢাকা মহানগর অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, সিএনজি অটোরিকশা চালকদের পোশাক নির্ধারণ করা থাকলে অ্যাপসের মাধ্যমে ভাড়ায় রাইডশেয়ারিংয়ের চালানো যানবাহন চালকদের থাকবে না কেন। এ ছাড়া সিএনজির সংখ্যা সীমা আছে কিন্তু রাইডশেয়ারিংয়ের সংখ্যা সীমা নেই। খোকন বলেন, বিআরটিএর নীতিমালায় রাইডশেয়ারিং মানে নিজে চলার সময় অন্যকে নিয়ে নেয়া। এর মানে এই নয় দিনরাত ভাড়ায় চালানো। এ প্রসঙ্গে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান বলেন, একদিনে সব কিছু হবে না। অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচালনাকারী যানবাহন নিবন্ধন করে তাতে বিআরটিএর '৯৯৯' লেখা স্টিকার ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিছু কোম্পানি করেছে, আশা করি বাকিরাও শিগগির করবেন।