খাতায় বিভিন্ন হাতের লেখা: ২৭ শিক্ষার্থীকে ২ বছর বহিষ্কার

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যশোর প্রতিনিধি
এইচএসসি পরীক্ষার একই খাতায় বিভিন্ন রকম হাতের লেখা থাকায় খুলনা ও সাতক্ষীরার তিনটি কলেজের ২৭ শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডে ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল স্থগিত থাকা খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী আরকেবিকে কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রের তিন প্রতিষ্ঠানের ওই পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য ও বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, গত মে মাসে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয়। আর ফলাফল প্রকাশ হয় ১৭ জুলাই। পৃষ্ঠা ২ কলাম ২ ফল প্রকাশের সময় খুলনার রাড়লী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের খুলনার পাইকগাছার চাঁদখালী ও রাড়ুলী আরকেবিকে কলেজিয়েট স্কুল ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শালিখা কলেজের ২৭ পরীক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। কারণ ওই তিন প্রতিষ্ঠানের ৯জন করে মোট ২৭পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি প্রথম পত্রের খাতা মূল্যায়নকালে পরীক্ষকরা দেখেন একই খাতায় বিভিন্ন হাতের লেখা ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষকরা বিষয়টি বোর্ডকে জানান। গত ২২ আগস্ট বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলিম বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেন। বোর্ডের সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলী আর রাজাকে আহ্বায়ক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র এবং কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর কে এম রব্বানীকে সদস্য করা হয়। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ২৭ পরীক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তারা দুই রকম হাতের লেখা করেননি। কেন্দ্রের দায়িত্ব শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও অস্বীকার করেছেন। কিন্তু একই খাতায় দুই রকম হাতের লেখার প্রমাণ মিলেছে। যেহেতু অপরাধ হয়েছে তাই ২৭ পরীক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই কেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আমরা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলাম। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বোর্ড কমিটি পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও কেন্দ্র স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলী আর রাজা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর কে এম রব্বানী, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ, সরকারি এম এম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর আফসার আলী, প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস, প্রফেসর নুরুজ্জামান, খুলনার কপিলমুনি কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, ঝিনাইদহ হাটবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।