শিক্ষার্থীদের ঘোষণা

আজকের মধ্যে দাবি না মানলে বুয়েটে তালা

এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা -ফোকাস বাংলা
আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের পর থেকে আন্দোলন করে আসা বুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের দশ দফা পূরণে উপাচার্যকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন; তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। গত রোববার রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পিটুনিতে তড়িৎ কৌশল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের মৃতু্যর পর ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বুয়েট উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসেননি। পরে যখন আসেন, তখন তিনি আন্দোলনরতদের সঙ্গে 'বিরূপ আচরণ' করেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, 'তিনি (উপাচার্য) আমাদের মধ্যে এলেও আমাদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দ্রম্নত স্থান ত্যাগ করেন।' 'আমরা আশা করব, ভিসি স্যার শুক্রবার দুইটার মধ্যে আমাদের মধ্যে আসবেন, তিনি সবার সঙ্গে কথা বলবেন। যদি তা না হয়, তাহলে বুয়েটের সব বিল্ডিংয়ে তালা ঝুলবে।' গত মঙ্গলবার উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসে \হ'নীতিগতভাবে' তাদের দাবির সঙ্গে একমত জানালেও তখনকার আট দফা মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা বন্ধসহ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা। পরদিন বুধবার শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি বাড়িয়ে ১০ দফা করেন। এগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগে ওইদিনই পদ ছাড়েন প্রাধ্যক্ষ জাফর ইকবাল খান। কিন্তু বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা জানান, তারা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাননি, তাই তাদের দাবি দশটিই থাকছে। রোববার গভীর রাতে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধারের পর থেকে উত্তাল বুয়েট। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার হন অন্যতম সন্দেহভাজন ও বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা। এ পর্যন্ত যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এদিকে আগামী ১৪ অক্টোবর বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই উত্তাল পরিস্থিতিতে পরীক্ষা আদৌ হবে কিনা এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে তারা দ্রম্নত কাউন্সিলের বিবৃতির আশা করছেন। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা * আবরার ফাহাদের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুসারে শনাক্ত খুনিদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। * সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জড়িতদের শনাক্ত করে শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। * মামলার সব খরচ এবং আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নোটিশ জারি করতে হবে। * দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে স্বল্পতম সময়ে আবরার হত্যা মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য বুয়েট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বুয়েট প্রশাসনকে সক্রিয় থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত ছাত্রদের তথ্য দিতে হবে। * আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের কপি অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। * বুয়েটে 'সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি' নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে বুয়েটে হলে হলে 'ত্রাসের রাজনীতি' কায়েম করে রাখা হয়েছে। জুনিয়র ব্যাচকে সবসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে যুক্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে কোনো সময় যে কোনো হল থেকে সাধারণ ছাত্রদের বিতাড়িত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে হলে হলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। রাজনৈতিক সংগঠনের এহেন কর্মকান্ডে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ। তাই ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বুয়েটে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। * বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে যাননি এবং ৩৮ ঘণ্টা পরে উপস্থিত হয়ে কেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেছেন, কেন তিনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেছেন, তাকে ক্যাম্পাসে এসে জবাবদিহি করতে হবে। * আবাসিক হলগুলোতের্ যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং এ ধরনের সন্ত্রাসে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব প্রশাসনকে বাতিল করতে হবে। একই সাথে আহসানউলস্নাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে। * আগে ঘটা এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ এবং পরবর্তীতে তথ্য প্রকাশের জন্য একটি কমন পস্ন্যাটফর্ম হিসেবে কোনো ওয়েবসাইট বা ফর্ম থাকতে হবে এবং নিয়মিত প্রকাশিত ঘটনা রিভিউ করে দ্রম্নততম সময়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই পস্ন্যাটফর্ম হিসেবে বুয়েটের বিআইআইএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে। ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রদর্শন করতে হবে এবং পরবর্তী ১ মাসের মধ্যে কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো হলের প্রত্যেক ফ্লোরের সবগুলা উইংয়ের দুই পাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে। * রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র? উৎখাতের ব্যাপারে নীরব থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভাস্টকে ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বৃহস্পতিবার শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিল শেরে বাংলা হল ঘুরে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। বিকালে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী পথনাটক মঞ্চস্থ করার কথা রয়েছে শিক্ষার্থীদের। 'সংগঠনভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি' বন্ধ চান বুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি নয়, বরং ক্যাম্পাসে কেবল 'সংগঠনভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির' বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দাবির বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন উলেস্নখ করে এর জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শীর্ষ সংশপ্তক সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের আন্দোলন ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে নয়। আমরাও স্বীকার করে নিই যে আমাদের দেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু আজকে বুয়েটে যে নষ্ট ছাত্ররাজনীতি হয়েছে, যার জন্য আমরা আসলে বেঁচে থাকতে পারছি না, যার জন্য হলে ও ক্যাম্পাসে প্রতিটি শিক্ষার্থী ত্রাসের মধ্যে থাকে, আমাদের আন্দোলন তার বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনি এ বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমাদের আন্দোলন আসলে রাজনীতির বিরুদ্ধে নয়, বরং শুধু বুয়েট ক্যাম্পাসে সংগঠনভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে।' শীর্ষ বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং এ বিষয়ে মিডিয়ার সামনে কথা বলেছেন। তিনি এও বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে এটি বন্ধ করে দিতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোনো প্রভাব থাকবে না। এর জন্য প্রয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সৎসাহস ও সদিচ্ছা। আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আমাদের প্রশাসন ও উপাচার্য এ বিষয়ে পিছিয়ে থাকবেন না। উপাচার্য স্যার আসবেন, আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন এবং আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন।' বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ এসেছে, তার বিষয়ে শীর্ষ বলেন, 'পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা আলামত আটকে রাখার চেষ্টার মতো কোনো কাজ আমরা করিনি। আমাদের দাবি ছিল, হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য যেন সিসিটিভি ফুটেজের একটি কপি রাখা হয়। আমরা সে বিষয়ে নেগোসিয়েট করেছি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে। উপাচার্যের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহারও আমরা করিনি, আমরা তাঁর কাছে শুধু কিছু উত্তর চেয়েছি এবং দাবি জানিয়েছি।' আবরার হত্যায় ১৬ জন গ্রেপ্তার :পুলিশ বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে পুলিশের নিষ্ঠার কারণে। এ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। আবরার হত্যা মামলা তদন্তের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা বৃহস্পতিবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন, ডিএমপি সদর দপ্তরের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায় ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার নৃশংসভাবে খুন হওয়ার তথ্য পেয়েই পুলিশ তৎপর হয়। এজাহার দায়েরের আগেই পুলিশ কাজ শুরু করে। হত্যাকান্ডের পর বুয়েটে যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখনই পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছিল। তারা ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এজাহার দায়েরের পর আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এজাহারে নাম নেই অথচ পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন লোকের সংখ্যা তিনজন। এঁরা হচ্ছেন অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ও শামসুল আরেফিন। এজাহারে নাম না থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক তদন্তে নাম আসায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মনিরুল ইসলাম বলেন, অতীতেও অনেক ক্লুলেস ঘটনা গোয়েন্দা বিভাগ পেশাদারির সঙ্গে শনাক্ত করেছে। এই ঘটনাটির ক্ষেত্রেও ডিএমপি থেকে তাঁরা অঙ্গীকার করতে চান যে, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককেই চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৬ জন। মনিরুল ইসলাম বলেন, এর আগেও ক্যাম্পাসে এ রকম হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এত দ্রম্নত গ্রেপ্তার পুলিশের পেশাদারি ও নিষ্ঠার কারণেই সম্ভব হয়েছে। মোট কতজন হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত, তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটি তাঁরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। রিমান্ড শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।