চৌদ্দগ্রামে অর্থমন্ত্রী

৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) সংবাদদাতা
কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল -যাযাদি
অর্থমন্ত্রী ও কুমিলস্না দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি বলেছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এ তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পর আর কোনো মানুষ কর্মের বাইরে থাকবে না। তিনি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্তদের অনুরোধ করে বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করার মাধ্যমে আধুনিক এবং যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। তিনি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতা মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন নিয়ে সারাজীবন কাজ করেছেন। কিন্তু তা শেষ করে যেতে পারেননি। একটি রক্তাক্ত যুদ্ধ এবং অনেক প্রাণের বিনিময়ে আমরা এ দেশ পেয়েছি। আমাদের সামনে আরেকটি যুদ্ধ, এ যুদ্ধে কোনো রক্তপাত হবে না। এ যুদ্ধ হচ্ছে সোনালি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। এখন আমাদের সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রধান যোগানদাতা হলো ছাত্রলীগ। তিনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগ নেতাদের অনুরোধ করে বলেন, কর্মী রিক্রুট করার সময় দেখে করবেন। কোনো ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকসেবীদের দলে প্রয়োজন নেই। সৎভাবে রাজনীতি করলে মানুষ অন্তর থেকে শ্রদ্ধা-সম্মান করবে। এর চাইতে বড় সম্পদ আর কী হতে পারে? আদর্শবান নেতাকর্মী প্রয়োজন। জি কে শামীমদের মতো নেতাদের আদর্শ নেই। তারা সম্মানের সঙ্গে মরে না। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিলস্না দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হক বলেন, চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের অত্যাচারে আলস্নাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল। আমরা সাহস হারাইনি। জনগণের সঙ্গে ছিলাম বলে জনগণ আমাদের আবার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতির পথ অনেক লম্বা। ধৈর্য হারালে চলবে না। মন-প্রাণ ও দরদ দিয়ে আওয়ামী লীগ করলে দল অনেক কিছু দেয়, তাকে মূল্যায়ন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস ছোবহান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিলস্না জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আলী হোসেন চেয়ারম্যান, সামছুল আলম মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ভিপি ফারুক আহমেদ মিয়াজী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভ.ম. আফতাবুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, গুনবতী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল, বাতিসা ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন টিপু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন মজুমদার, খোরশেদ আলম, মোশারেফ হোসেন, একরামুল হক, মাহফুজ আলম, সৈয়দ আহমেদ খোকন, আলহাজ জানে আলম ভূঁইয়া, কাজী জাফর আহমদ, জাফর ইকবাল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ। সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন থেকে ৩১ জন করে কাউন্সিলর এবং ২শ' জন করে ডেলিগেটর আমন্ত্রণ করা হয়। সন্ধ্যায় দ্বি-অধিবেশনে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান সভাপতি ও মিয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহমত উলস্নাহ বাবুল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।