উত্তীর্ণ ৪৯৪১৩ জন

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ৪৯ হাজার ৪১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে ছেলে ২২ হাজার ৮৮২ (৪৬.৩১ শতাংশ) এবং মেয়ে ২৬ হাজার ৫৩১ (৫৩.৬৯ শতাংশ)। মঙ্গলবার বিকেলে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন একজন ছেলে, তার স্কোর ৯০.৫। আর মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ একজন ৮৯ নম্বর পেয়েছেন। 'এ বছর সরকারি ৩৬টি মেডিক্যাল কলেজে চার হাজার ৬৮ আসন ও ৭০টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ছয় হাজার ৩৩৬ আসনসহ মোট ১০ হাজার ৪০৪টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৯ হাজার ৪০৫ জন।' তিনি জানান, এবারও নারী শিক্ষার্থীদের পাসের হার বেশি বা নারীরাই এগিয়ে রয়েছেন। ফলাফল আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টা থেকে টেলিটক সিমের মাধ্যমে জানা যাবে। উত্তীর্ণদের ফলাফল যার যার মোবাইল নম্বরে মেসেজ আকারে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া একই সময় থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও (যঃঃঢ়://িি.িফমযং.মড়া.নফ) পাওয়া যাবে। ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সর্বোচ্চ মার্ক অনুসারে বা মেধা তালিকা অনুসারে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি শুরু হবে আগামী ২১ অক্টোবর ও শেষ হবে ৩১ অক্টোবরে। 'আর ক্লাস শুরু হবে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করতে পারবেন। টেলিটক সিমের মাধ্যমে আবেদন করে তারা এ প্রক্রিয়া চালাতে পারবেন।' প্রশ্নপত্রের বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এইবার যেরকম প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে সেই প্রশ্ন পরীক্ষার একঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীরা পেলেও পড়ে পাস করতে পারবে না। তাদের কমপক্ষে একদিন আগে পেতে হবে। আর আমরা পরীক্ষার প্রশ্ন প্রিন্ট করেছি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি বা তার কোনো সুযোগ ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুণও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, খুলনায় প্রশ্ন বাণিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে। সে কোচিং সেন্টারটিও বন্ধ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোচিং সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ ধরনের সমস্যা থেকেই যাবে। যদিও পরীক্ষার একমাস আগে থেকে আমরা কোচিং বন্ধ করার নির্দেশনা দিই। 'ইতোমধ্যে অনেকগুলো কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। যারা নিয়ম মেনে কোচিং পরিচালনা করে না। আশা করি এটা আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।' শেখ ইউসুফ হারুণ বলেন, যে কোনো দুর্নীতির সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কেউ যদি সংযুক্ত থাকে যথাযথ প্রমাণ ও অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন পদ্ধতিতে গত ১১ অক্টোবর দেশব্যাপী একযোগে ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেনু্যতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।