বালিশকান্ডের দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না : আইইবি

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্রের বালিশকান্ডের দায় শুধু প্রকৌশলীদের একার নয়, মন্ত্রণালয়ও এর দায় এড়াতে পারে না। শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবির কাউন্সিল হলে 'সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার বর্তমান অবস্থা : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বালিশকান্ড ঘটার পর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)  তাদের বক্তব্য জনগণের সামনে তুলে ধরেনি উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, তারা এই বিষয়টি জনগণের সামনে পরিষ্কার করেনি। তবে বালিশকান্ডের মতো যেন আর কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে সেই দিকে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়েরও কড়া নজর রাখতে হবে। এ সব ঘটনার জন্য যেন সরকারের কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আইইবির পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, চিপস-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল  হুদা, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানী, এলজিইডির প্রকিউরমেন্ট ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম, ন্যাশনাল ট্রেনার প্রকৌশলী সোনিয়া নওরিনসহ অন্যান্য প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্টরা বক্তব্য রাখেন।  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে আরও বেশি দক্ষ করে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে আবদুস সবুর বলেন, আগামীতে আইইবির ওয়াশিংটন একর্ড পেতে হবে। ওয়াশিংটন একর্ড পেলে আইইবির সদস্য প্রকৌশলীরা আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। যার ফলে আগামী দিনে যারা আইইবির সদস্য পদ নিতে আসবেন তারা দক্ষ না হলে হবে না। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখে যায় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে অনেক সময় বেশি লাগে। যার ফলে বাজেট আরও বাড়াতে হয়। কিন্তু প্রকল্পগুলো যখন করা হয় তখন প্রকৌশলীরাই এই সময় বেঁধে দেন। প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রকল্পের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু সময় দেবেন। তার চেয়ে কম বা বেশি সময় দেবেন না। তার পর মন্ত্রণালয় কি করবে সেটা তাদের বিষয়। প্রকৌশলীরা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।