দৃশ্যমান হচ্ছে অস্থিরতা

জাতীয় নিবার্চন ঘিরে বাড়ছে সংশয় শঙ্কা

সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূণর্ পরিবেশে সুষ্ঠু নিবার্চন হবে কিনা, সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রাথীের্ক ভোট দিতে পারবে কিনা- সবর্স্তরে এখন এই প্রশ্ন

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

সাখাওয়াত হোসেন
জাতীয় সংসদ নিবার্চনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংশয় ও শঙ্কা। সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূণর্ পরিবেশে সুষ্ঠু নিবার্চন হবে কিনা, সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রাথীের্ক ভোট দিতে পারবে কিনা- সবর্স্তরে সে প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দঁাড়িয়েছে। নিবার্চনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সন্দিহান সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে নিবার্চন কেন্দ্রিক সংঘাত-সহিংসতা ও নাশকতার নানামুখী ষড়যন্ত্র নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন খোদ ক্ষমতাসীনরা। সব মিলিয়ে দেশে নিবার্চনকেন্দ্রিক অস্থিতিশীলতা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পযের্বক্ষকরা। তাদের ভাষ্য, নিবার্চনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যেভাবে বিপরীত দু’মেরুতে অবস্থান করছে, তাতে সহসা তাদের মধ্যকার দূরত্ব হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অথচ সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নিবার্চন না হলে তা হবে জাতির জন্য সম্মিলিত আত্মহত্যার শামিল। বিশ্ববিবেক একদলীয় নিবার্চনকে স্বীকৃতি দেবে না। পাশাপাশি নিবার্চনের নামে ‘ভাগাভাগির’ সরকার গঠিত হলে জনপ্রশাসনের আস্থা অজের্ন পুরোপুরি ব্যথর্ হবে। দেশের অথর্নীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির এবং রাজনৈতিক সহিংসতারও আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে ক‚টনীতিকদের অভিমত, নিবার্চন ইস্যুটি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক্ষেত্রে জনগণের সিদ্ধান্তের বাইরে আন্তজাির্তক মহল কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। তবে দেশের মানুষের একটি বড় অংশ জাতীয় নিবার্চনে আস্থাশীল না হলে এবং এ ইস্যুতে সহিংসতা ছড়ালে এ নিবার্চন বিশ্বমহলে গ্রহণযোগ্য হবে না। নিবার্চন কমিশনের ওপর আন্তজাির্তক আস্থার সংকট দেখা দেবে। যা সরকার ও নিবার্চন কমিশন নিঃসন্দেহে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে আশা করেন তারা। যদিও বাস্তবিক অথের্ এখনো সে ‘প্রত্যাশার’ কোনো নজির মিলছে না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতীয় নিবার্চন ঘিরে মানুষের চিন্তাভাবনাগুলো তুলে আনার চেষ্টা করেছেন আমাদের প্রতিনিধিরা। এগুলো পযাের্লাচনা করে দেখা যায়, ভোটারদের মধ্যে সুষ্ঠু নিবার্চন নিয়ে প্রবল সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। তাদের অনেকেই সহিংসতা ও ভোট না দিতে পারার আশঙ্কা করছেন। ভোটারদের এই অংশটি উদাহরণ টানছেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয়, এরপর উপজেলা ও সবের্শষ খুলনা, গাজীপুর, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী করপোরেশন নিবার্চনের। ওইসব নিবার্চনের প্রভাব একাদশ জাতীয় নিবার্চনে পড়তে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। তবে এই ভাবনার বিপরীতে ভোটারদের অনেকেই মনে করেন, এবারের এই নিবার্চন অনেকটা সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। কারণ, সরকার এই নিবার্চনকে কেন্দ্র করে নতুন বিতকের্র মুখে দলীয় আস্থা বিনষ্ট করতে চাইবে না। যুক্তি হিসেবে তাদের মত হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন কমর্কাÐ বিবেচনায় রেখে সাধারণ ভোটাররা স্বতঃস্ফ‚তর্ভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। যা অনায়াসেই তাদের নিবার্চনী বৈতরণী পার করতে সহায়ক হবে। তাই ঐতিহ্যবাহী এ দলটির অনৈতিক কোনো ঝুঁকি নেয়ার প্রয়োজন হবে না। যায়যায়দিনের সিলেট ব্যুরো প্রধান জানান, সিটি নিবার্চন সামনে রেখে সরকার বিএনপি নেতাকমীের্দর ধরপাকড় করে যেভাবে আতঙ্ক তৈরি করেছে, জাতীয় নিবার্চনে একই ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটাররা। প্রহসনের নিবার্চনে সাধারণ ভোটারদের ভোটের কোনো গুরুত্ব থাকবে না। বরং ক্ষমতাসীন সরকার জাতীয় নিবার্চনে প্রত্যাশিত বিজয় অজের্ন অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করবে। তাই অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান জানান, আসন্ন জাতীয় নিবার্চনে ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে চরম আস্থার সংকট রয়েছে। এছাড়া প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নিবার্চনে অংশ নেবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে অনেকের। গাজীপুর ও খুলনা সিটি নিবার্চনের মতো একই কৌশলে বিরোধী দলীয় প্রাথীের্দর কোণঠাসা করে রাখার অপচেষ্টার কারণে জাতীয় নিবার্চনে সংঘাত-সহিংসতার সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। রাজশাহীর স্থানীয় ভোটারদের ভাষ্য, ভোটাররা সবাই জাতীয় নিবার্চনে ভোট দিতে চায়। তবে তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে কিনা, তা নিভর্র করবে নিবার্চনী মাঠের পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর। সিটি নিবার্চনের গতিবিধি দেখে তাদের সংশয় আরও বেড়েছে। তাদের ভাষ্য, নিবার্চন সুষ্ঠু হলে দেশে ভোট উৎসব হবে, নইলে সমালোচনার জোয়ার বইবে। রংপুর প্রতিনিধি জানান, সেখানকার মানুষ নিবার্চনমুখী। সাধারণ ভোটারদের নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের সবোর্চ্চ আগ্রহ রয়েছে। তবে ভোটের মাঠের পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলেই তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। তাদের ধারণা, একাদশ জাতীয় নিবার্চন অনেকটা শান্তিপূণর্ভাবে সম্পন্ন হবে। ছোটখাটো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তা আইন রক্ষাকারী বাহিনীই সামাল দেবে। বরিশাল প্রতিনিধি জানান, সিটি নিবার্চন নিয়ে যে উত্তাপ ও আলামত দেখা গেছে, তাতে জাতীয় নিবার্চন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার কোনো আশা দেখছেন না সেখানকার সাধারণ ভোটাররা। দল নিরপেক্ষ, নিরীহ ভোটারদের ভাষ্য, পরিবেশ ভালো থাকলে তারা ভোট দিতে যাবেন, ঝামেলা হলে ভোটকেন্দ্রের দিকে ফিরেও তাকাবেন না। যশোর প্রতিনিধি জানান, ভোট নিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষ নানা সংশয়-শঙ্কায় রয়েছেন। তাই জাতীয় নিবার্চন পার হলেই তারা হঁাফ ছেড়ে বঁাচবেন। ভোটারদের অনেকের ধারণা, তারা ভোট দিতে গেলেও যা হবে, না গেলেও সেই একই ফল দঁাড়াবে। তাই ভোটের দিন কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘষের্র আশঙ্কা থাকলে তারা ঝুঁকি নিয়ে কেন্দ্রে যাবেন না। বিএনপি সমথির্ত ভোটারদেরও সেই একই কথা। তবে আওয়ামী লীগ সমথর্করা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতা গায়ে মাখবেন না বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে গাজীপুরের ভোটারদের অনেকেই উদাহরণ টেনেছেন সদ্য সমাপ্ত সিটি নিবার্চনের। তাদের ভাষ্য, স্থানীয় নিবার্চনে ক্ষমতাসীনরা যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে, জাতীয় নিবার্চনে তার ব্যত্যয় ঘটবে না। তাই তাদের কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। সিটি নিবার্চনের মতো জাতীয় নিবার্চনেও ইসির ভ‚মিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন স্থানীয় ভোটারদের অনেকেই। এদিকে একাদশ জাতীয় নিবার্চন নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা যে মনোভাব প্রকাশ করেছেন, তাতে তাদের সংশয় ও শঙ্কা অনেকটাই স্পষ্ট। তাদের ভাষ্য, রাজনৈতিক গতিবিধি ভিন্নদিকে মোড় নেয়ার চিত্র ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। বিশেষ করে সিটি নিবার্চন কেন্দ্র করে সম্প্রতি সিলেটে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রাথীর্র নিবার্চনী কাযার্লয়ে আগুন, একই দলের নেতার রেস্টুরেন্টে হামলা-ভাঙচুর, যুবলীগ-শিবিরের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা দীঘির্দনের রাজনৈতিক সহনশীলতা ভেঙে পড়ার দৃশ্যমান নমুনা। যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে নিবার্চনকালীন সময় দেশের সাবির্ক পরিস্থিতি কতটা স্থিতিশীল থাকবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊধ্বর্তন কমর্কতার্রা। এসপি পদমযর্দার একাধিক কমর্কতার্ জানান, জাতীয় নিবার্চনের সময় ঘনিয়ে এলে কোথাও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে না। বরং সাধারণ ভোটারদের মাঝে অজানা শঙ্কা বাড়ছে। যা তাদের গতিবিধিতে প্রমাণ পাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ও বিশিষ্ট অপরাধ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জিয়া রহমান এ বিষয়ে যায়যায়দিনকে বলেন, বিগত সময়ে নিবার্চন মৌসুমে দেশে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হলেও গত কয়েক টামের্ এতে ব্যাপক পরিবতর্ন এসেছে। এখন নিবার্চন ঘনিয়ে এলেই দেশে সহিংসতা বাড়ছে। ২০১৩ সালের শেষ ও ১৪ এর প্রথম দিকে দেশের মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি সিটি করপোরেশন নিবার্চনেও সে ধারা অব্যাহত থেকেছে। যা ভোটারদেরকে কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। সুষ্ঠু নিবার্চনের পথে বাধা হয়ে অনেকগুলো শক্তি কাজ করছে বলে মনে করেন এ অপরাধ বিজ্ঞানী। অধ্যাপক জিয়া রহমান আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু নিবার্চনের ক্ষেত্রে নিবার্চন কমিশন এবং সরকারের বড় ভ‚মিকা রয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান চাইলে সহজেই সুষ্ঠু নিবার্চন অনুষ্ঠান সম্ভব। খুলনা, গাজীপুর, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি নিবার্চনের প্রচারে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম আমাদের সামনে এসেছে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে এগুলোর বিরুদ্ধে লিখিত নোটিশও নিবার্চন কমিশনকে দিয়েছে। কিন্তু নিবার্চন কমিশন কাযর্ত কোনো ভ‚মিকা নেয়নি। নিবার্চন কমিশন এখানে এসব বিষয়ে ক্ষমতা প্রাপ্ত। যা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু এসব অপরাধের কোনেটিরই বিচার হয়নি। যদি দুই একটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক শাস্তি দিয়ে কমিশন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারত তবে অপরাধীরা ফের অপরাধ করার আগে একবার হলেও ভাবতো। কিন্তু তারা নিশ্চিত হয়েছে অপরাধ করে পার পাওয়া যায়। এ কারণেই অপরাধীরাও আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।’ তিনি মনে করেন, কাগজে কলমে নিবার্চন কমিশন যতই ক্ষমতাবান হোক সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য সরকারের সহায়তা অবশ্যই প্রয়োজন। আর এ কারণে আগামী নিবার্চন কেমন হবে তার অনেক কিছুই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরও নিভর্র করছে। সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক নেহাল করিম মনে করেন, সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য সরকারের ভ‚মিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূণর্। তিনি এ বিষয়ে যায়যায়দিনকে বলেন, ‘জনগণ ভোট দিতে যাবে কি যাবে না তা নিভর্র করবে সরকার ও নিবার্চন কমিশনের সমন্বিত উদ্যোগের ওপর। ভয়ভীতির পরিবেশ থাকলে আমরা কখনই একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল সরকার পাব না।’ তবে কমিশন, সরকার ও জনগণ সমন্বিতভাবে কাজ করলে আগামীতে একটি ভালো নিবার্চন হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সমাজবিজ্ঞানী নেহাল করিম। যদিও ইসি ও সরকারের কাযর্ক্রমে এ ধরণের পরিবেশ তৈরির কোনো আলামত খুঁজে পাচ্ছেন না প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নীতি-নিধার্রকরা। তাদের অভিযোগ, খুলনা-গাজীপুর সিটি নিবার্চনে সরকার তার ক্যাডারবাহিনী ও পুলিশকে দিয়ে বিএনপির নেতাকমীের্দর ধাওয়ার ওপর রেখে নিবির্চারে ভোট ডাকাতি করেছে। সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে তারা একই কৌশলে জয় ছিনিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে। এ অবস্থায় জাতীয় নিবার্চনে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না বলে মন্তব্য করেন তারা। এদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে দেশে কোনো নিবার্চন হবে না- বিএনপি নেতাদের এমন হুমকিতে সরকার চক্রান্ত ও সহিংসতার আশঙ্কা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনেকটা একই সুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও জানিয়েছেন শঙ্কার কথা। তিনি বলেছেন, আগামী নিবার্চন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র করছে। নানা অজুহাত ও মিথ্যাচারের নামে নিবার্চন প্রতিহত করার কথা বলছে। তবে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুরে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘শুধু গাজীপুর নয়, আগামী জাতীয় নিবার্চনকে এবং নিবার্চন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। জনমনে নিবার্চন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করার জন্য বল্গাহীন মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে।’