শহিদুল আলম কি আইনের ঊধ্বের্ প্রশ্ন জয়ের

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
শিক্ষাথীের্দর আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক অপপ্রচারের’ অভিযোগে রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন, তাদের নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র সফল ও জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই কি শহিদুল আলমকে আইনের ঊধ্বের্ রাখার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি আমিসহ সব সফল ও জনপ্রিয় মানুষই আইনের ঊধ্বের্?’ দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে গোয়েন্দা পুলিশ গত ৫ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংগঠন ও মানবাধিকারকমীর্রা তাকে মুক্তি দেয়ার আহŸান জানিয়ে আসছেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে নিযার্তন করা হয়েছে বলেও শহিদুল ইতোমধ্যে অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকারকমীর্ সুলতানা কামাল বলেছেন, শহিদুলের ওপর ‘অত্যাচারের’ মাধ্যমে সরকার সবার মধ্যে ‘ভয় ধরাতে চাইছে’। এ প্রসঙ্গ টেনে জয় লিখেছেন, ‘ধরুন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সফল ব্যক্তি হিসেবে আন্দোলনের সময় আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতাম আন্দোলনরত তরুণরা আমাদের কমীের্দর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আক্রমণ করে হত্যা করেছে এবং সেই কথার প্রেক্ষিতেই আমাদের কমীর্রা উত্তেজিত হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্রমণ করত। “তাহলে কি বলা যেত আমি সহিংসতা উসকে দিয়েছি? নাকি আমি বাকস্বাধীনতার অধিকার দ্বারা সুরক্ষিত থাকতাম?” জয় তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই আজ যেই সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধুরা ও সাংবাদিকরা শহিদুল আলমের পক্ষে কথা বলছেন, তারা তখন ঠিকই বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সহিংসতা উসকে দিয়েছেন।’ শহিদুল আলম ‘ঠিক তাই করেছেন’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে লিখেছেন, ‘তার দেয়া মিথ্যে পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষাথীর্রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের ওপর ও পাটির্ অফিসে হামলা চালায়। “একাধিক পুলিশ সদস্য ও আমাদের কমীর্রা আহত হন। আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামে আমাদের এক কমীর্ তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারিয়েছেন। বাপ্পি কি ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য না?’