জামিনের জন্য আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার আবেদন

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
খালেদা জিয়া
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার আপিল বিভাগে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী কায়সার কামাল। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, "এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করেছিল। সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।" অপরাধের গুরুত্ব, সংশ্লিষ্ট আইনের সর্বোচ্চ সাজা এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদাসহ অন্য আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত- এ তিন বিবেচনায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনটি খারিজ করে দেয়। এর আগে টানা দুই দিন শুনানি করেন খালেদা জিয়া, রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীরা। জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেয় বিচারিক আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চারদিন পর গত বছর ১৮ নভেম্বর খালেদার দন্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জামিন আবেদনও করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল ওই আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাই কোর্ট। সেদিন বিচারিক আদালতের রায়ে দেওয়া অর্থদন্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেওয়ার পাশাপাশি খালেদার জামিন আবেদনটি নথিভুক্ত করে মামলার নথি তলব করেছিল হাইকোর্ট। এটিসহ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত খালেদা জিয়া বর্তমানে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুচিকিৎসার জন্য তার জামিনে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। দুটি মামলায় রায় হওয়ার পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও অন্তত ৩৪টি মামলা রয়েছে বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে নাইকো মামলা, গ্যাটকো মামলা, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার বিচার চলছে। এগুলো দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত। বাকি মামলাগুলো রাষ্ট্রবিরোধী ও অপরাধজনিত মামলা। যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, সহিংসতা, নাশকতা, ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা। এর মধ্যে ২৬টি মামলা হয়েছে ঢাকায়। এছাড়া কুমিলস্নায় তিনটি, পঞ্চগড় ও নড়াইলে একটি করে মামলা রয়েছে।