১৫ টন পচা পেঁয়াজ ময়লার ভাগাড়ে

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাজারে পেঁয়াজের কেজি ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় চাষিরা অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলে বাজারে নিয়ে যান। ছবিটি রংপুর পীরগাছা উপজেলার চৌধুরানীর মোড় থেকে তোলা -পিবিএ
পেঁয়াজের দাম যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে প্রায় ১৫ টন পচা পেঁয়াজ ফেলে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মসলা মার্কেট হিসেবে খ্যাত হামিদুলস্নাহ মার্কেট, চাঁন মিয়া বাজার এবং মধ্যম চাক্তাই এলাকায় এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে যায় আড়তদাররা। আড়তদাররা বলেছেন, এসব মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজ, পরিবহণের সময় এগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার গাড়িতে করে এসব পেঁয়াজ নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগর এলাকার আর্বজনা ফেলার স্থানে নিয়ে ফেলে। ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক আহমদ ছফা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হামিদুলস্নাহ মার্কেটের ভেতর ও বাইরে এবং চাঁন মিয়া বাজার ও মধ্যম চাক্তাই এলাকায় পচা পেঁয়াজ ফেলে যায়। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে খবর পেয়ে চারটি গাড়িতে করে সেগুলো আরেফিন নগর নিয়ে ফেলে আসা হয়। পচা পেঁয়াজ প্রায় ১৫-১৬ টন হবে। পেঁয়াজ ফেলে দেয়ার বিষয়ে হামিদুলস্নাহ মার্কেট কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ বলেন, 'এসব খারাপ পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে এসেছিল। সেখান থেকে আনার সময় যেগুলো বোটের (নৌকা) নিচে পড়েছিল, সেগুলো পচে যায়। 'এ রকম দুই থেকে তিন ট্রাক হবে। যেগুলো বিক্রি হয়নি, সেগুলো ফেলে দেয়া হয় রাতে। এরপর আর ফেলা হয়নি।' গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর সরকার মিয়ানমার থেকে আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মান নিয়ে তখনো প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে বৃহস্পতিবারের পর থেকে খাতুনগঞ্জের আড়তে মিসর ও চীন থেকে আমদানি করা কোনো পেঁয়াজ নেই বলে জানান আড়তদারদের নেতা ইদ্রিচ। তিনি বলেন, 'এখন মিয়ানমার থেকে যে পেঁয়াজ আসছে, সেটাই বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার ১৬৮ টন এসেছিল। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এসেছে ৭০ টন।' খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে শনিবার কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। 'পাইকাররাও এত দামে পেঁয়াজ কিনতে চাইছে না, যে দাম উঠেছে, সেটা অবিশ্বাস্য!' বলেন ইদ্রিচ।