শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গোতাভায়া রাজাপক্ষের জয়

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গোতাভায়া রাজাপক্ষে
শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের ভাই গোতাভায়া রাজাপক্ষে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তিনি সাজিথ প্রেমাদাসাকে পরাজিত করেছেন। রোববার গোতাভায়া রাজাপক্ষের মুখপাত্র কেহেলিয়া রাম্বুকওয়েলা জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৭০ বছরের গোতাভায়া রাজাপক্ষে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তামিল গেরিলাদের পরাস্ত করেন তিনি। ৩৭ বছর ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধের অবসান ঘটান। এবারের নির্বাচনে তিনি ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। সিংহলি অধু্যষিত এলাকায় তার প্রধান সমর্থক গোষ্ঠীর কল্যাণে ভোটের হার ৫০ শতাংশ ছাড়াতে পারে। গোতাভায়ার মুখপাত্র কেহেলিয়া রাম্বুকওয়েলা এএফপিকে বলেন, 'আমরা ৫৩ থেকে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। এটা পরিষ্কার জয়। এটা কল্পনাতীত ভোট। গোতা প্রেসিডেন্ট হচ্ছে জেনে আমরা আনন্দিত। কাল বা পরশু তিনি শপথ নেবেন। গোতাভায়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা (৫২) পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। সংখ্যালঘু তামিল এলাকায় তিনি বেশি সমর্থন পেয়েছেন। নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন প্রেমাদাসা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী গোতাভায়াকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, জনগণের রায়কে সম্মান জানাচ্ছেন। শ্রীলংকার সপ্তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করায় গোতাভায়া রাজাপক্ষেকে অভিনন্দন। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহিন্দা দেশাপ্রিয়া বলেন, ১ কোটি ৫৯ লাখ ৯ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার শনিবার ভোট দেন। জনমত জরিপ নিষিদ্ধ হলেও সব প্রার্থীর মধ্যে আগে থেকেই এগিয়ে ছিলেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গোতাভায়া রাজাপক্ষে। প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ মাহিন্দা রাজাপক্ষে ক্ষমতাচু্যত হওয়ার পর তার ছোট ভাই গোতাভায়া রাজাপক্ষে তাদের দল ফ্রিডম পার্টির শীর্ষ পদে রয়েছেন। তামিল গেরিলাদের প্রতিহত করে সমর্থকদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তবে দুর্নীতি ও বিরোধীদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বছরের এপ্রিল মাসে ইস্টার সানডেতে উগ্রবাদীদের হামলায় ২৬৯ জন নিহত হওয়ার পর গোতাভায়া দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন। শ্রীলংকায় চলতি বছরের অনেকটা সময়জুড়ে ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের মধ্যে দ্বন্দ্বই ছিল এই সংকটের মূল কারণ। এর মধ্যেই ঘটে যায় দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা। গত এপ্রিলে ইস্টার সানডের দিনে একযোগে কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে চালানো হামলায় নিহত হন ২৫০-এর বেশি মানুষ। শ্রীলংকার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ভারত ও চীনের বিরুদ্ধে। রাজাপক্ষে ও তার পরিবারকে চীনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে ভাবা হয়। তামিলদের গেরিলাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালায় তৎকালীন রাজাপক্ষে সরকার। এতে তারা চীনের সমর্থন পেয়েছিল।