কাউন্সিলর রাজিবের একটি গাড়ি জব্দ দুটি নজরদারিতে

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের একটি গাড়ি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার মালিকানাধীন আরও দুটি গাড়ি নজরদারিতে রাখার জন্য মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সংস্থার সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুদকের একটি দল এসব ব্যবস্থা নেয়। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রাজীবের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে দুদক এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দুদক জানিয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে একটি গাড়ির গ্যারেজ থেকে একটি গাড়ি জব্দ করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নীল রঙের ওই গাড়িটি সেবা অটোমোবাইল নামের একটি গ্যারেজে সার্ভিসিংয়ের জন্য রাখা হয়েছিল বলে দুদক জেনেছে। গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে গাড়িটি জব্দ করে দুদক। রাজীবের অন্য দুটি গাড়িও ওই গ্যারেজের সামনে পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি গাড়ি নম্বরবিহীন ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। আরেকটি গাড়ি ভালো অবস্থায় থাকলেও ব্যাটারির কারণে চালু হচ্ছিল না। গাড়ি দুটিতে নজরদারি করার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেছে দুদক। চলমান শুদ্ধি অভিযানে গত ১৯ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসা থেকে তারেকুজ্জামান রাজীবকে গ্রেপ্তার করের্ যাব। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়। এরপর ৬ নভেম্বর রাজীবের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। অনুসন্ধানে রাজীবের ৭ বাড়ি ও ৮ গাড়ির সন্ধান পায় সংস্থাটি। এ ছাড়া তার মোট ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে দুদক। রাজীবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তার কয়েকশ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের সময় প্রমাণ সাপেক্ষে ওই সব সম্পদের তথ্য আইন আমলে নেওয়া হবে। মামলার এজাহারের তথ্য অনুসারে, রাজীব তার চাচা ইয়াসিন হাওলাদারের নামে প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন। তার ওই চাচা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। এ ছাড়া রাজীবের বিলাসবহুল আটটি গাড়ির সন্ধান পেয়েছে, যেগুলোর দাম অন্তত ১২ কোটি টাকা। দুদক বলছে, কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন রাজীব। এসব অর্থ আয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস পায়নি দুদক। এ ছাড়াও রাজীবের আরও সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে, যেগুলো তদন্তকালে আইন আমলে নেওয়ার কথা বলেছেন দুদক কর্মকর্তারা।