দামও কমেছে

ক্রেতাশূন্য পেঁয়াজের পাইকারি বাজার

তিন দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। তবে আমদানি ও নতুন পেঁয়াজ ওঠায় দাম আরও কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীসহ বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটে পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কমে গেছে বিক্রি। ছবিটি শ্যামবাজার থেকে তোলা -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে কমছে পেঁয়াজের দর। গত তিনদিনে পেঁয়াজের কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দাম কমেছে। তবে আমদানি হচ্ছে এবং নতুন পেঁয়াজ ওঠায় দাম আরও কমবে এমন আশায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর পেঁয়াজের বড় পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত তিনদিনে পাইকারি বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমে এখন দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। দেশি নতুন পেঁয়াজ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। আমদানি করা বার্মা ও মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি ১০০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা আর চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের নেতা মেসার্স আলী ট্রেডার্সের পরিচালক মো. সামসুর রহমান বলেন, 'বাজার নামতেই (দাম কম) আছে। গত তিনদিনে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। এখন বাজারে বিক্রিই নেই। সবাই ভাবছে আমদানি হচ্ছে, নতুন পেঁয়াজও উঠছে তাই দাম আরও কমবে। এখন ক্রেতা নেই। যা বিক্রি হচ্ছে তা খুবই সামান্য।' তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। আমদানি করা মিসরের পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা আর চায়না পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৯০ টাকায়।' পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই কমছে এবং ক্রেতাও কম জানিয়ে কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ী আশরাফ বলেন, 'দাম কমছে কিন্তু ক্রেতা নেই। সোমবার যে দামে পেঁয়াজ কিনেছি আজকে তার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা কম দামে বিক্রি করছি। তারপরও বিক্রি হচ্ছে না। কারণ বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। গত দুই দিন ধরে তিন-চার বস্তার বেশি বিক্রি হচ্ছে না।' এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী করিম জানান, পাইকারি বাজারে দাম কমেছে। শ্যামবাজারে পেঁয়াজের মণ ছয় হাজার টাকা পড়ছে। আমরা খুচরা ১৭০ টাকা বিক্রি করছি। দাম আরও কমে যাবে। এ জন্য এক বস্তা পেঁয়াজ এনেছি।' ভারত রফতানি বন্ধ করায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার সংবাদে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ১০০ টাকায় পৌঁছায় দেশি পেঁয়াজের কেজি। পরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং আমদানি করা পেঁয়াজ আসছে না- এমন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। অপ্রতিরোধ্য পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ বেড়ে ২৫০ টাকা হয়। পেঁয়াজের সংকট মোকাবিলায় বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। মিসর থেকে কার্গো বিমানযোগে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, যার প্রথম চালান আজ বা কাল ঢাকায় পৌঁছাবে।