গাইবান্ধার সাংসদ লিটন হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মনজুরুল ইসলাম লিটন
যাযাদি ডেস্ক গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের তৎকালীন সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষে ২৮ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই যুক্তিতর্ক শেষ হয়। আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক সাক্ষী ও আসামিদের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক গ্রহণ করেন। এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। প্রথম দিনে যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে প্রায় তিন ঘণ্টা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। যুক্তিতর্কের সময় হত্যার মূল আসামি সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানসহ আট আসামির মধ্যে ছয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। যুক্তিতর্কের সময় মামলার সাক্ষী ও নিহত ব্যক্তির স্বজনরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শফিকুল ইসলাম বলেন, 'সাক্ষ্যপ্রমাণসহ মামলার নানা দিক আলোকপাত করে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে ২৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন বিচারক। আশা করছি, এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসিসহ সর্বোচ্চ শাস্তি হবে আদালতে।' আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ বলেন, সাংসদ লিটনকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলায় কাদের খানকে ফাঁসানো হয়েছে। আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে বিস্তারিত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। মামলার রায় সন্তোষজনক না হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান তিনি। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মনজুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া কাদের খানের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, মেহেদি হাসান, শাহীন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানা কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। \হএ ছাড়া পলাতক আছেন অপর আসামি চন্দন কুমার। এছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় অস্ত্র আইন মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।