মতলবে লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। প্রতিদিন ভোরবেলা কুয়াশা জমে থাকছে ঘাসে আর লতাপাতায়। রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। পুরোপুরি শীতের শুরু না হলেও পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ। দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা আর ভোরের স্নিগ্ধতা বাতাস, সাত সকালে ঘাস-পাতার উপর জমে থাকা শিশিরকণা জানিয়ে দেয় গ্রামীণ জনপদে শীত আসছে। এ অবস্থায় মতলব উত্তরে আগাম শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। শীতের আগমনী বার্তায় বেজায় খুশি লেপ- তোশকের প্রস্তুতকারী ধুনকাররা। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাস থেকে শীতকাল শুরু হলেও অগ্রহায়ণ, পৌষ ও মাঘ এই তিন মাস শীত মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এ সময় শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হিড়িক পড়ে লেপ-তোষক বানানোর দোকানে। ইতোমধ্যে মতলবে শীত মৌসুমের কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক বানানোর কাজে। ক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে লেপ-তোষক দোকানগুলোতে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের লেপ-তোষকের এক কারিগর মো. শাহ আলম (৩৭), দর্জি বাজারের ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), দাদন মিয়া, আশেক মিয়া জানান, ক্রেতারা শীতের কথা মনে রেখে আগাম লেপ-তোষক বানাতে অর্ডার দিচ্ছেন। অর্ডার পেয়ে কারিগররাও লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তারা জানান, একটি লেপ তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে এক থেকে দুই ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে গড়ে তিন থেকে পাঁচটি লেপ তৈরি করতে পারেন। অনুরূপভাবে দিনে চার-পাঁচটি তোষক তৈরিতেও একই সময় ব্যয় হয়। বর্তমান বাজারে লেপ ও তোষক তৈরি খরচ জোড়া হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ২শ টাকা। একই বাজারের তুলা ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান (৪২) জানান, শীত মৌসুমের পুরো তিন মাস কারিগররা যে হারে লেপ-তোষক, গদি তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে বছরের অন্য সময় তা হয় না। বছরের প্রায় আট মাস তাদের অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয়। কেউ কেউ ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়। কয়দিন ধরে আগাম শীতের আগমন বার্তায় প্রতিদিনই লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার বেড়েছে। তাই অর্ডারি লেপ-তোষক তৈরিতে এখন কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একেকজন কারিগর দিনে প্রায় ৪শ থেকে ৫শ টাকা উপার্জন করে থাকেন। ছেংগারচর দর্জি বাজারের তুলা ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান (৪২) আরো বলেন, তুলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষক, গদি তৈরিতে খরচ গত বছরের চেয়ে একটু বেড়েছে। তাছাড়া বর্তমানে কেনা-বেচা ভালোই হচ্ছে। শীতের তীব্রতা যত বাড়বে বেচা-কেনা আরও জমবে বলে আশা করছি।