পরীক্ষায় প্রক্সি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ৪০ শিক্ষার্থী ধরা

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) সংবাদদাতা
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে দুটি কেন্দ্রে আনন্দ স্কুলের (রক্স প্রকল্প) হয়ে পিইসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ৪০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ফারজানা নাসরিন বৃহস্পতিবার ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষার দিন তাদের আটক করেন। তারা সবাই উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে তিনি বিএসডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখানে সরোয়ার মেম্বারের বাড়ি আনন্দ স্কুলের পিইসি পরীক্ষার্থী নূরুন নাহারকে জানতে চাইলে সে প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করে। ওই শিক্ষার্থী মৌলভীরচর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এরপর একে একে এমন ১৮ জন পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়। তারা হলো-তাসমিম, তামান্না সুলতানা, রুমি আক্তার, মিলি আক্তার, সোমাইয়া, সাজেদা আক্তার, সাকিব, সিয়াম, জিহাদ, সাইফ, হাসিবুল, মিজানুর, সোহাগ, ইব্রাহিম, আবু সাইদ, ফাতেমা ও মার্জিয়া। এ দিকে চর হাজিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জনই ভুয়া। এরা হলো-হৃদয় ফকির, সোহাগ প্রামাণিক, জান্নাত আক্তার, বন্যা আক্তার, বৈশাখী আক্তার, রাজু প্রামাণিক, সেলিনা, আমেনা, জুই আক্তার, হাওয়া আক্তার, আখি আক্তার, সেখ সোলাইমান, সেক শিমুল, রিফাত বেপারী, ফরহাদ বেপারী, খুশি, ফাইজুল, রুপা রানী, দিপা রানী, ষষ্টী রানী, ঝর্না আক্তার ও মোহনা আক্তার। এ ব্যাপারে আনন্দ স্কুলের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর (টিসি) বর্নালী বিশ্বাস বলেন, তিনি গিয়ে ডি আর করা পেয়েছেন। তিনি কিছু জানেন না। নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ফারজানা নাসরিন বলেন, 'আমি অবাক হয়েছি এমন প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রক্সি দিতে এসেছে।' তিনি বলেন, ভুয়া পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা এ কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।